নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের যে কোনও সমস্যাই কিন্তু রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। এই সমস্যার উৎস যেখানে, শরীরের সেই ফুসফুস নামক অঙ্গটি কিন্তু যত্ন না পেলে দিন দিন বিগড়ে বসতে বাধ্য হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত কিছু সুষম খাদ্য। চিকিৎসকেরা এই প্রসঙ্গে সর্বদাই একমত যে ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে সর্ব প্রথম ধূমপান ত্যাগ করার শর্ত। কিন্তু ধূমপান ছাড়াও কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে, যা নিয়মিত খেলেই ফুসফুসের স্বাস্থ্য থাকে তরতাজা।
১)বেরি: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি অথবা ব্ল্যাকবেরিতে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন। ফুসফুস যখন বয়সের সাথে সাথে কমজোর হয়ে পরতেথাকে, নিয়মিত এই ফলগুলি খেলে এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ফুসফুসের অবস্থার সেই অবনতির মাত্রা আনেকটাই হ্রাস করে দেয়।
২)সবুজ শাকসব্জি: শাকসব্জি কিন্তু শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের জন্যই খুবই জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। আর সমীক্ষায় জানা যায় যে, সবুজ শাক-সব্জি ফুসফুসের ক্যানসারের আশঙ্কা প্রবলভাবে কমিয়ে দেয়। তাই পালংশাক, ব্রকোলি, মেথি, সবুজ ক্যাপসিকাম, ইত্যাদি এবং নানা মরসুমি সব্জি আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকা খুবই জরুরি।
৩) লাল রঙের ফল ও সব্জি: চিকিৎসকদের মতে লাল ক্যাপসিকাম, লাল টমেটোর মতো সব্জি এবং ফলে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ফুসফুসের পক্ষে বেশ উপকারী। শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে টমেটোর রস কিন্তু বেশ কার্যকরী। আর তা ছাড়া লাল রঙের ফল ও শাকসব্জি সেই সমস্ত রোগীর জন্যও খুবই দরকারি, যাঁরা কিনা দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের সমস্যাতে জর্জরিত।
৪) নুন: বাজারের প্যাকেটজাত খাবারে কিন্তু লবণের আধিক্য অনেকটাই বেশি যা ফুসফুসের পক্ষে ভীষণই ক্ষতিকারক। তাই ঐ সমস্ত খাবার এরিয়ে চলা প্রয়োজন, আর রান্না করা খাবারে পরিমিত মাত্রার নুনের ব্যবহার করলেও আনেকটাই সুস্থ থাকবে ফুসফুস।
৫) কফি: শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে কফিও আমাদের কিছুতা কাজে আসে। এতে আছে পলিফেনল, যা কিনা ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভাবে সহায়ক। তবে মাথায় রাখতে হবে কফি অতিরিক্ত মাত্রাতে খেলে কিন্তু ঘনিয়ে আসতে পারে বিপদ।
