একসময় রাত কাটিয়েছেন হাওড়া স্টেশনে! আজ নিজের টাকায় বাড়ি বানালেন ‘অপরাজিত অপু’র বর্ষা

টেলিভিশনের দেওয়ালে আমরা যাদেরকে দেখে আকর্ষিত হয়ে অনেক সময়ই আমরা তাদেরই মতো হতে চাই। ওনাদের বিলাসবহুল জীবন যাপন, সাজ পোশাক দেখে আমরা ধরেনিই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনও বুঝি খুব শান্তির সঙ্গে রাজার হালেই কেটে থাকে। তবে বেশিরভাগ তারকার সাক্ষাৎ দেখলে কিংবা শুনলেও ঠিক বোঝাই যায় যে, কতটা কঠোর পরিশ্রমের ফলে তারা সফল হয়েছেন।

যদিও সুপারস্টার অভিনেতাদের কথা অনেকটা আলাদা। তবে ধারাবাহিক জগতে যারা অভিনয় করেন তাদের বহু কাঠখড় পড়ানোর পরে গিয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা যায়। উল্লেখ্য, আজ এধরনের এক সংগ্রামী অভিনেত্রীর কথা জানাজাক। আজকাল দর্শকদের খুব প্রিয় ধারাবাহিক গুলির মধ্যে একটি হল “জি বাংলার” (Zee Bangla) “অপরাজিতা অপু” (Aparajita Apu)।

আন্টি ওয়ান এবং আন্টি টুকে ঠিক কিভাবে সামলে নিজেকে সুশিক্ষিত তথা সমাজের একজন পরিচিত নাগরিক হয়ে উঠবে অপু এই কাহিনীই তুলে ধরাহয়েছে সিরিয়ালটিতে। সিরিয়ালের প্রতিটি ভুমিকাই সঙ্গে সঙ্গেই দর্শকদের মন জয় করে ফেলেছে। আর এই সিরিয়ালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল বর্ষা। তবে বর্ষা হল অপুর ননদ৷ আর বর্ষার ভিমিকায় যিনি অভিনয় করছেন তিনিই হলেন অভিনেত্রী মৌলি দত্ত। একসময় কঠোর পরিশ্রম করেই ‘মৌলি দত্ত’ আজ নিজের স্বপ্নপূরণ করতে সফল হয়েছেন।

তবে খুব ছোট থেকেই অভিনেত্রী হয়ে ওঠার স্বপ্নবুনে ছিলেন তিনি। যদিও কলকাতা শহরে তাদের নিজস্ব কোনোও বাড়ি না থাকার কারণেই এমন একটা সময় শ্যুটিং সেরে হাওড়ার ওয়েটিং রুমেও রাত কাটাতে হয়েছে অভিনেত্রী মৌলি দত্তকে৷ কেবল-মাত্র নিজের স্বপ্নপূরণের জন্যই দেশের বাড়ি ছেড়ে কলকাতাতে যাতায়াত করতেন মৌলি৷ অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই জীবনে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর লড়াই দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী মৌলি এবং সঙ্গে বাবা ও মা’য়ের সমর্থনও ছিল। কিন্তু এত কঠোর পরিশ্রমের ফল ও পেয়েছেন অভিনেত্রী, বর্তমান বিনোদন জগতের অভিনেত্রী হিসেবে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি।

এই অসাধারণ কষ্টের জীবন যাপন করার পরেই অভিনেত্রী মৌলি আজ নিজের উপার্জনে কলকাতায় একটি ফ্ল্যাট নিয়েছেন। এদিন বাবা ও মাকে সঙ্গে করেই নিজের স্বপ্নপুরীতে গৃহপ্রবেশ করলেন মৌলি দত্ত। সেদিন ইন্সটাগ্রামে নিজের নতুন ঠিকানার ছবি দিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, “বালিশ দিয়ে যখন ঘর বানাতাম তখন থেকেই মনে করতামতাম যে আমার নিজের একটা বাড়ি হবে। কলকাতায় যখন আমার বাড়ি ছিল না ফলে হাওড়া স্টেশনেও রাত কাটিয়েছিলাম। আজ কষ্ট স্বার্থক।”