স্মপ্রতি দেখা গিয়েছে হোটেলর ঘরে যৌনতায় মত্ত রয়েছে এক দম্পতি। আর তাঁদের যৌনতায় মত্ত অবস্তার চিৎকার শুনে ভিড় জমে গেল হোটেলের সামনেই। সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে শরীরী মিলন জরুরি। প্রিয়জনকে এত নিবিড় ভাবে স্পর্শের মুহূর্তে স্বাভাবিক ভাবেই একটা বাড়তি উত্তেজনা আর উন্মাদনা কাজ করে।
কিন্তু এই একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের আবেগ যদি বাইরের লোকের কানে একবার পৌঁছে যায়, তখনই কিন্তু ঘটে বিপত্তি! যৌনতা চলাকালীন চিৎকার অনেকের কাছে খুবই সাধারণ মনে হতে পার । কিন্তু সেই শব্দ শুনে যদি রাস্তায় লোক জমে যায়, তবে বোধ হয় অনুভূতি আর কিন্তু ব্যক্তিগত থাকে না।
এখনও পর্যন্ত ওই দম্পতির পরিচয় প্রকাশ্যে আসেনি। তবে এটা জানা গিয়েছে যে, তাঁরা উঠেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের একটি হোটেলে। ঐ দম্পতী হোটেলের নীচের একটি ঘরে ছিলেন। এক দিন সাত সকাল থেকে হোটেলের ওই ঘরের সামনে একে একে লোক জমতে শুরু করে। এ ভাবে লোক জড়ো হওয়ার কারণ খুঁজতে এসেই চক্ষু চড়কগাছ এক হোটেলকর্মীর। পর্দা তোলা রয়েছে জানলার।
অথচ সে দিকে কোন রকম কোন ভ্রুক্ষেপ নেই ঐ দম্পতির, তাঁরা তখন নিজেদের মতো যৌনতায় মগ্ন। ঠিক সেই সময় হোটেলের তরফে তাঁদের ঘরে ফোন করে তাদেরকে সচেতন করা হয়। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। এরপর তাঁরা ঘর থেকে পাশের স্নানঘরে চলে যান। হোটেলের পাতলা কাচের আড়াল থেকে অনেকের চোখে পড়ে দম্পতির সঙ্গমরত ভঙ্গি। গোটা রাস্তা জুড়ে জমাট বেঁধে যায়।
সেই দৃশ্য শুনে এবং ঝাপসা দেখে ক্ষান্ত হননি কেউই। অনেকেই নাকি সেই শব্দ নিজেদের ফোনে রেকর্ডও করেছেন। বাইরে তাঁদেরকে নিয়ে এত কিছু হয়ে যাচ্ছে, অথচ সে দিকে কোনও হুঁশ-ই নেই
ঐ দম্পতির। এ বিষয়ে অনেকেরই মত- শারীরিক মিলনের সময় অন্য কোনও দিকে মন দিতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু তাই বলে নিজেদের চোখ, কান বন্ধ রেখে সঙ্গমে মগ্ন হয়ে যাওয়া একটু বাড়াবাড়ি নয় কি?