International Yoga Day: আজ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এই যোগ দিবসে মানুষের শরীরে থাকা সাতটি চক্র সম্বন্ধে জেনে নেওয়া উচিত। চক্র কথার অর্থ চাকা। আমাদের মনুষ্য শরীরে এমন কয়েকটি চাকা রয়েছে যেগুলির সঙ্গে আমাদের দেহে শক্তির যোগ রয়েছে। আমাদের দেহের মেরুদণ্ড থেকে একেবারে মস্তিষ্ক পর্যন্ত এই চাকার যোগ রয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে মানুষের শরীরে থাকা চক্রের সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক। আমাদের দেহে এই চক্র রয়েছে সাতটি। আর এগুলি অবস্থান করছে দুই চোখের মাঝ বরাবর, নাভিতে, তলপেটে, মাথার উপরে, দেহের নিম্নাঙ্গে, হৃদয়ে এবং কন্ঠে। এই চক্রগুলি হল সহস্রার চক্র, অনাহত চক্র, মূলাধার চক্র, মনিপুর চক্র, স্বাধীষ্ঠান চক্র, আজ্ঞা চক্র, বিশুদ্ধ চক্র।
জেনে নেওয়া যাক চক্রগুলি সম্বন্ধে-

1)সহস্রার চক্র:
এই চক্রের অবস্থান মানুষের মস্তিষ্কের ঠিক উপরে। এই চক্রের নেই কোনো নির্দিষ্ট বর্ণ। এই চক্রের সহস্রটি দল রয়েছে। এটির তিনটি অংশ। সচ্চিদানন্দ ; নীচ থেকে উপরে আনন্দ অংশ, চিৎ অংশ ও সৎ অংশ। এগুলি একটি আরেকটির উপরে অবস্থান করে। সচ্চিদানন্দ অংশটি হল সৎ, চিৎ, আনন্দ, চিৎ অংশ হল দর্পণ এবং সৎ অংশ হল মহাশূন্যতারুপী অন্ধকার। এই চক্র আমাদের উচ্চ চেতনা, দিব্য চেতনা, বোধিসত্ত্ব, অন্তর্দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
2)অনাহত চক্র:
এই চক্রের অবস্থান মনুষ্য শরীরের বুকের মাঝখানে। এই চক্রের বর্ণ সোনালী-গোলাপী। এর ১২টি দল। এই চক্রে মানুষের রাগ, অনুরাগ, প্রেম, বিরহ এইসমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণে থাকে।
3)মূলাধার চক্র:
এই চক্রের অবস্থান দেহের মেরুদণ্ডের একেবারে নিম্নাংশে। এই চক্রের বর্ণ লাল৷ এটির ৪টি দল। এই চক্রকে কুন্ডলিনী বলে। এটির মাধ্যমে আমাদের চেতনা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই চক্রের বিস্তার চেতন থেকে অবচেতন পর্যন্ত। এই চক্রে জন্ম, মৃত্যু, জরা, ব্যাধি নিয়ামক থাকে।
4)মনিপুর চক্র:
এই চক্রটি রয়েছে দেহের পাকস্থলীর নীচের শিরা জাল নিয়ে গঠিত। এর বর্ণ বেগুনি। এই চক্রের ১০টি দল। এই চক্রে কামনা, বাসনা, উচ্চ চেতনা, জীবনীশক্তি নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই চক্রে দিব্যশক্তি মণিপুরি নৃত্য করে। এর ফলে দেহের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়।
5)স্বাধীষ্ঠান চক্র:
এই চক্রের গঠন দেহের তলপেট অর্থাৎ অগ্নাশয় নিয়ে। এর বর্ণ গাঢ় গোলাপি। এটির ৬টি দল। এই চক্র মানুষের কামনা, বাসনা, লোভ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই চক্রে দিব্যশক্তি নৃত্য করে। এর ফলে আমাদের লোভ, কামনা, বাসনা বাড়ে। এই চক্রের জন্য বমি, ডাইরিয়া হয়।
6)আজ্ঞা চক্র:
এটি দুই চোখের মাঝ বরাবর অবস্থান করছে। এটির বর্ণ সাদা। এটির ২টি দল। এই চক্র আমাদের মানসিক গঠন, গতিময় মন, ইচ্ছা, দিব্যদৃষ্টি নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই চক্রে দিব্যশক্তির নৃত্যের ফলে মন কাজ করে। এই চক্রের মাধ্যমে নানান কবিতা, উপন্যাস লেখার ক্ষমতা লাভ করা যায়।
7)বিশুদ্ধ চক্র:
এটির অবস্থান কন্ঠে। এর বর্ণ ধূসর। এই চক্রের দল ১৬টি। এটির সাহায্যে আমাদের ভাবপূর্ণ মন ও বহির্মন নিয়ন্ত্রিত হয়। এই চক্রের মাধ্যমে মনের ভাব ও মানসিক শক্তি প্রকাশ পায়। এই চক্রে গানের সুর আসে, শিশুর কথা বলার শক্তি আসে। সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা, মন খারাপ ইত্যাদি হয়।
আরও পড়ুন,
* Skin Care: শীতে ত্বককে রুক্ষতার হাত থেকে বাঁচাতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলো
* Steinway Tower: বিশ্বের সবচেয়ে সরু বহুতল, একটি ফ্ল্যাটের দাম ৮১৭ কোটি টাকা, রয়েছে সমস্ত রকমের বিলাসবহুল ব্যবস্থাও