এমনিতেই মেলেনি ‘শোলে’তে অভিনয়ের সুযোগ! ধর্মেন্দ্রর হাতে পায়ে ধরেছিলেন বিগ বি অমিতাভ

গত এক শতাব্দীর মধ্যে সবচাইতে সিনেমা হিসেবে ধরা হয় শোলে সিনেমাকেই। আর ১৯৭৫ সালের ১৫ ই অগাস্ট মুক্তি পেয়েছিল এই শোলে ছবি। বলিউডের ইতিহাসে সেরা এই ছবিটি চলতি বছরেই পা দিয়েছে মুক্তির ৪৬ বছরে। আর রমেশ সিপ্পি পরিচালিত এই ছবিটির চমৎকার অভিনয় এবং স্ক্রিপ্ট রাইটিং ও নির্দেশনা আর সংলাপ আজও প্রশংসিত।

আর তাইতো বছরের পর বছর ধরে ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, সঞ্জীব কুমার এবং আমজাদ খান এই চলচ্চিত্রটির জন্য সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছেন। আর এই ছবি ঘিরে বেশ অনেক গল্প রয়েছে। ছবিটিতে জয় ও বীরুর কেমিস্ট্রি সর্বকালের সেরা নজির হয়ে রয়েছে। তবে শোনা যায় যে, অমিতাভ নয় বরং জয়ের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথমের দিকে প্রস্তাব গিয়েছিল শত্রুঘ্ন সিনহার কাছেই।

কিন্তু পরবর্তীতে ধর্মেন্দ্রর অনুরোধেই নাকি শত্রুঘ্নর জায়গাতে অভিনয় করেন অমিতাভ বচ্চন। তবে এ ব্যাপারে প্রথম দিকে কিন্তু চুপই ছিলেন ধর্মেন্দ্র। তবে ২০১৮ সালে ছোটপর্দার জনপ্রিয় একটি শো ‘আপকি আদালত’ এ এসেই মুখ খোলেছেন তিনি। তবে সোজাসুজি কিছু না বললেও তিনি জানিয়েছেন যে” হ্যাঁ একথা সত্যি যে অমিতাভ বচ্চনকে এই ছবিতে কাজ পেতে আমি সাহায্য করেছিলাম। ও আমাকে অনুরোধ করেছিল কাজের জন্য।

তার আগেও ওর সাথে কাজ করায় আমি ওকে নিয়ে বেশ আশাবাদীও ছিলাম৷ তবে অমিতাভের জায়গাতে প্রথমের দিকে শত্রুঘ্নের অভিনয় করার কথাই হয়েছিল।” তবে ধর্মেন্দ্র আগে মুখ না খুললেও অমিতাভ বচ্চন বহু জায়গাতেই শোলে সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ধর্মেন্দ্রকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

আর এই প্রসঙ্গে ধর্মেন্দ্রকে যখনই জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে তিনি কেন অমিতাভকে সহায়তা করেছিলেন তখন তিনি সাফ জানিয়েছিলেন,

“আমি ঠিক বলতে পারব না। কারন অতটা তলিয়ে কখনোই দেখিনি। ছেলেটা ভালো ছিল। আর এলো আমার কাছে, অনুরোধও করল। ব্যাস! আমিও ভাবলাম যে বেচারাকে কাজটা পাইয়ে দি।”