গরমের দাপট বেড়েই চলেছে ক্রমশ৷ প্রতিদিন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। বাইরে বেরোলে ঘামের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ক্লান্তি চেপে বসে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই রয়েছেন যারা নিজেদের শরীরের যত্ন নিতে ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং করেন। তবে এই জিনিসগুলো শুধু মুখের জন্য। কিন্তু আমাদের শরীরে শুধু মুখে নোংরা জমে না৷ যদিও মুখের পরিচর্যা করার দরকার রয়েছে তেমনই শরীরের বাকি অংশে পরিচর্যা করার দরকার রয়েছে।
সঠিকভাবে পরিষ্কার করা – এই গরমে অনেকেই দিনে একাধিকবার স্নান করেন। তবে কতবার স্নান করবেন তা প্রত্যেকের নিজস্ব বিষয়। কিন্তু প্রতিবার স্নান করার সময় ক্ষারযুক্ত সাবান মাখার প্রয়োজন নেই। ক্ষারযুক্ত সাবান মাখলেই দেহ পরিষ্কার হয় না। প্রতিদিন ক্ষারযুক্ত সাবান গায়ে মাখলে চামড়ার ক্ষতি হয়৷ এছাড়া সবসময় ক্ষারযুক্স সাবান ব্যবহার করলে ত্বকে র্যাশ, চুলকানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন সাবান মাখতে গেলে এমন সাবান বেছে নিতে হবে যার মধ্যে কোনো ক্ষার বা ওইজাতীয় কোনো রাসায়নিক নেই তেমন সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। এমন সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে যার মধ্যে রয়েছে গ্লিসারিন, হায়ালুরনিক অ্যাসিড সহ একাধিক জিনিস।
সানস্ক্রিন – রোদ থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন আমাদের জন্য উপকারী। কারণ সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে আমাদের ত্বকে ক্যান্সার হতে পারে। আর সেই রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচায় সানস্ক্রিন। এছাড়া রোদের তাপ ছাড়াও ত্বকের বার্ধক্য রোধ করতে সানস্ক্রিনের জুড়ি মেলা ভার। তাই বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলে সানস্ক্রিন লাগানো জরুরি।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা – গরমকালে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম মাখা জরুরি। কারণ গরমের সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে৷ আর তার ফলে আমাদের শরীর শুকিয়ে যেতে শুরু করে। আর এই শুকিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন রয়েছে। তার জন্য গ্লিসারিন, হায়ালুরনিক অ্যাসিড, নিয়াসিনামাইড কিংবা ইউরিয়া এবং শিয়া বাটার ময়েশ্চারাইজার কিনতে পারেন।
আরও পড়ুন,
*গ্রামের প্রথম মাধ্যমিক পাশ আদিবাসী পরিবারের কন্যা গৌরী