সমস্যা ঠেকাতে ‘মহিলা সুরক্ষা নাম্বার’ শুরু করল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ। ২৪ ঘন্টায় খোলা থাকবে এই ‘সাহায্যকারি’ নাম্বার। যেকোনো টাইমে যেকোনো সমস্যায় পড়লেই সরাসরি পুলিশের সহায়তা পেতে পারেন নারীরা। পাশাপাশি দীঘা সহ জেলার বিখ্যাত জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার জায়গাগুলিতে সমস্যায় পড়লে নারী ভ্রমণকারীরা ৯৮০০৭৭৫৯৯৯ এই নাম্বারে ফোন করতে পারেন।
আরজি কর কর্মকাণ্ড নিয়ে রাজ্য আলোড়নের মাঝে নারী নিরাপত্তার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের সাহায্যকারী নাম্বার শুরু করল পুলিশ দপ্তর। শনিবার মিডিয়ার সামনে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদ্বীপ ভট্টাচার্য জানান ৯৮০০৭৭৫৯৯৯ নাম্বারে ফোন করার পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপও সংযোগ করা যাবে। বিপদে পড়লে কোন নারী এতে সহজেই পুলিশের সাহায্য পাবে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, ‘নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা জেলা প্রশাসক। সেই কারণে জেলা জুড়ে পুলিশের’ বিশেষ প্রতিক্রিয়া দল’কে অনেক বেশি করে সচেতন করা হয়েছে। দিনে বা রাতে যে কোন সময় কোন নারী যেকোনো সমস্যায় পড়লেই এই নম্বরে যোগাযোগ করতে বা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজের মাধ্যমে সংযোগ করে পুলিশের সহায়তা নিতে পারবে।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজও আরো কিছু উপকারিতা যোগ করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করলেই জেলার পুলিশ অধিকারীর সাথে সংযোগ করার জন্য নাম্বার পেয়ে যাবে সাহায্যকারী নারী। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তপোক্ত করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আরো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, জেলার যে সব স্থানে ‘ব্ল্যাক স্পট’ আছে সেই গুলিকে নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে যেখানে অপরাধীরা চলাচল করতে পারে, সেই স্থানগুলিকে নির্ধারণ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে নারীদের নিরাপত্তার জন্য শুধুমাত্র জেলা স্তরে নারী বাহিনীর ‘উইনার্স টিম’ ছিল। তারা সম্ভবত দীঘা ও হলদিয়াতেই কাজকর্ম করে। এবার থেকে জেলা ভিত্তিক এলাকাতেও ‘উইনার্স টিম’ কাজ করবে। এবার থেকে কাঁথি,এগরাতেও কাজ করবে।
সংবাদমাধ্যমে পুলিশের থেকে খবর পাওয়া যায়, “আরজিকর কর্মকাণ্ডের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে জেলার মেডিকেল কলেজ, গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ জায়গাগুলিতেও যেমন স্কুল-কলেজের নিরাপত্তায়ও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সুপার জানান, জেলার ভ্রমণকারী জায়গাগুলি যেমন দীঘা মন্দারমনি তাজপুর প্রভৃতি স্থানে পুলিশ বাহিনী সম্পূর্স ভাবে প্রচলিত করা হয়েছে। ‘মহিলা সুরক্ষা’ নাম্বারটি আরও বেশি করে ছড়িয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে পুলিশ বাহিনী। যেখানে সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে লাইফ জ্যাকেট গচ্ছিত রাখা হচ্ছে। বিপদজনক স্থানগুলিতে সাইনবোর্ড দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন,
*আচমকাই দীপিকাকে নিয়ে এ কী কথা বললেন অনুষ্কা! শুনে …