গ্রীষ্মের দাবদাহে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। যদিও গ্রামের দিকে গাছপালা বেশি থাকায় কিছুটা স্বস্তি মেলে। তবে শহরে এয়ারকুলার বা এয়ারকন্ডিশনার ছাড়া স্বস্তির কোনো উপায় নেই। তাইতো শহরের বেশিরভাগ বাড়িতেই এয়ারকন্ডিশনার লক্ষ্য করা যায়। তবে এই এসি(AC) দীর্ঘদিন ভালো রাখতে কিছু বিষয়ে নজর দিতে হয়। আজ আমরা সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে আলোচনা করবো এই প্রতিবেদনে।
এসি’কে সাধারণত কুল মোডে ব্যবহার করা হয়, যেটি এটির ডিফল্ট মোড। আর এর আদর্শ তাপমাত্রা থাকে ২২ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় এসি চললে কম্প্রেসারে চাপ পড়ে না।
যদি ঘরের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি বা তার বেশি হয়ে যায় তাহলে কুইক কুল মোড ব্যবহার করা হয়। যেখানে তাপমাত্রা থাকে ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় রাখলে ঘর খুব দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে বিদ্যুতের ব্যবহার অনেকটাই বেশি হয়।
রাতে এসি চালিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। তবে যেহেতু রাতে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে তাই তখন এসি স্লিপ মোডে রাখা হয়। এতে প্রতি এক ঘন্টায় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বেড়ে যায়। ফলে ঘুমোনোর সময় ঠান্ডা লাগে না এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
এসি যখন চালানো হয় তখন অবশ্যই মনে রাখতে হবে বাইরে থেকে যেন বাতাস ভেতরে না আসে। তাই এসি চলাকালীন অবস্থায় বারবার ঘরের দরজা খোলা যায় না।
এসি ভালো রাখতে গেলে সপ্তাহে অন্তত একবার ইন্ডোরের ঢাকনা খুলে ফিল্টার বের করে পরিষ্কার করতে হয়। ঠান্ডা জলে করলে সেটি ভালো হয়। এছাড়াও বছরে দু’বার সার্ভিসিং করানো উচিত। এতে এসি দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
আরও পড়ুন,
*টক টক কাঁচা আমের চাটনি রেসিপি, হু হু করে উঠবে একথালা ভাত
*দাম ৪৮ লক্ষ, রোবট কুকুর কিনে বিপদে আমেরিকান ইউটিউবার!