জিতু অতীত, কার মঙ্গল কামনায় মহাকাল মন্দিরের নবনীতা?

শ্যুটিং শেষ হতেই দার্জিলিং-এর মহাকাল মন্দিরে নবনীতা। সবে শেষ হয়েছে ‘তুমি আশেপাশে থাকলে’র পথ চলা। নবনীতা দাস গত শনিবার শেষদিনের শ্যুটিংয়ের ছবি পোস্ট করেছিলেন। এর পর তিনি উড়ে যান দার্জিলিং। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৭৮২ সালে এই মন্দিরটি লামা দোর্জে রিনজিং নির্মাণ করেছিলেন। সেই মন্দির থেকেই সম্প্রতি একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। পুজো দেওয়ার সময় নবনীতার পরনের ছিলো সবুজ রঙের গলাবন্ধ টি-শার্ট সঙ্গে ছিলো ধূসর রঙের শর্ট স্কার্ট।

উত্তরবঙ্গের এই শৈল শহরে বেড়াতে গিয়েছেন অভিনেত্রী, সেখান থেকে কিছু ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার ২২ জুলাই , দার্জিলিং-এর প্রাচীন মহাকাল মন্দিরে পুজোও দিয়েছেন নবনীতা। এই বর্ষাতে দিনে বিশাল একখানা ছাতা মাথায় দার্জিলিং-এর পথে হেঁটে বেড়াতে দেখা গিয়েছে নবনীতাকে।

সামাজিক মাধ্যমে নবনীতার এই পোস্ট ঘিরে একাধিক মন্তব্য উঠে এসেছে। কেউ প্রশ্ন করেছেন, ‘কোথায় আছেন? তো আবার অন্য কেউ আবার লিখেছেন, ‘হর হর মহাদেব’। কেউ কেউ আবার ট্রোল করতেও করেছেননী। কেউ একজন লিখেছেন ‘জিতু তো আর নেই, তবে কার জন্য শিবপুজো করছেন?’ আবার অন্য একজনের কথায়, ‘শিবপুজো কার মঙ্গলকামনায়?’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘বাহ, পুজোর কী সুন্দর পোশাক! স্কার্ট পরে পুজো?’ আরও ইত্যাদি ইত্যাদি সব মন্তব্য।

প্রসঙ্গত বলে রাখা দরকার, গত ২০২৩ এর মাঝামাঝি জিতু-নবনীতা নিজেদের বিচ্ছেদের খবর আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। আর এরপরই তাঁদের ডিভোর্স হয়। এতদিন পর সম্প্রতি সম্পর্কে ভাঙন নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেলো জিতুকে। তাঁর কথায়, ‘সম্পর্ক ঠিক হয় না কখনও। সম্পর্ক হয় ভালো হয়, নইলে খারাপ হয়, কিন্তু ঠিক হয় না।”

তিনি আরও বলেছেন, আসলে সম্পর্ক কাচের মতো। এটা সকলেই জানেন যে কাচ একবার ভেঙে গেলে অথবা চিড় ধরলে শত চেষ্টা করলেও কিন্তু ওই ভাঙা দাগ ভেসে ওঠে। তাই তার থেকে শ্রেয় আলাদা থাকো, বন্ধু হয়ে থাকো। অভিনেতা জিতু আরও বলেছেন, ‘যাঁরা যাঁরা পারছেন, ভালো আছেন ভালো থাকুন।

আমার শুভেচ্ছা রইল। কিন্তু আমার অনেক বন্ধু, অভিনেতা বন্ধুদের দেখেছি ডিপ্রেশনে পড়ে। সম্পর্কের মধ্যে ভাঙাচোরা চলছে। আমার এসব হয় না।’ অভিনেতা যখনই ডিপ্রেসড হন তখন তাঁর রাত জাগা হয়ে যায়, বই পড়া হয়ে যায়, আর হয় অনেক লেখা লেখি। অনেক কিছু আঁকাও হয়ে যায়।