স্পিডবোটের ধাক্কায় লঞ্চ উল্টে যাওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জন যাত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বাইতে। এলিফ্যান্টা গুহায় ঘুরতে যাওয়ার আগে এই ঘটনা ঘটে।৷ লঞ্চে ১১৩ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৪ জন জলে ডুবে মারা যান। যদিও ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছোয় সিআইএসএফ-এর মেরিন কমান্ডোদের একটি টহলদারি স্পিডবোট। এরপর তারা উদ্ধারকাজ শুরু করে। প্রথমে শিশুদের, তারপর মহিলাদের এবং সবশেষে পুরুষদের উদ্ধার করা হয়।
এখনও পর্যন্ত একটি শিশু নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনার দু’দিন পর সেই ভয়াবহ ঘটনার কথা জানালেন সিআইএসএফ-এর এক উদ্ধারকারী জওয়ান। ডুবন্ত লঞ্চের মধ্যে থেকেই বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলতে যাচ্ছিলেন। কারণ লঞ্চ ডুবে যাওয়ার সময় বাবা মায়ের মধ্যে আতঙ্ক গ্রাস করে। তারা ভেবেছিলেন সন্তানদের সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দিলে তারা প্রাণে বেঁচে যেতে পারে। তাই সেই চেষ্টা করতে গিয়েছিলেন অনেকে।
কিন্তু সেসব করার আগে সেখানে পৌঁছে যায় নৌসেনার জওয়ানরা। এরপর তড়িঘড়ি তারা উদ্ধারকাজ শুরু করে। বুধবার বিকেলে মুম্বাইয়ের এলিফ্যান্টা গুহায় ঘুরতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নীলকমল নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ। জানা যাচ্ছে, নৌসেনার একটি স্পিডবোট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেই লঞ্চটিতে ধাক্কা মারে। এই ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে তড়িঘড়ি পৌঁছে যায় সিআইএসএফ-এর মেরিন কমান্ডোদের একটি টহলদারি স্পিডবোট।
সেই বোটে ছিলেন কনস্টেবল অমল সাভান্ত এবং তাঁর দুই সহকর্মী। বিকেল ৪টে নাগাদ তারা সেখানে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন লঞ্চের অনেকটাই ডুবে গিয়েছে। অমল জানান, সেখানে গিয়ে তিনি শিশুদের ঝুলে থাকতে দেখে ভয় পেয়ে যান। তাদের দিকে নিরুপায় হয়ে তাকিয়ে ছিলেন তাদের বাবা মায়েরা। প্রথম কমান্ডোরা শিশুদের প্রথমে উদ্ধার করে স্পিডবোটে তুলে নেন।
এরপর মহিলা ও সবশেষে পুরুষদের উদ্ধার করা হয়। এরপর নৌসেনার কাছে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। জানতে চাওয়া হয়েছে, কেনো ব্যস্ত সময়ে পরীক্ষামূলকভাবে স্পিডবোট চালানো হচ্ছিল। এর পাশাপাশি ওই স্পিডবোট চালানোর অনুমতি কে দিয়েছিল নৌসেনাকে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানতে পেরেছে, স্পিডবোটে সমস্যা দেখা দেওয়ার দরুন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বোটের চালক। আর তারপরই তা ধাক্কস মারে যাত্রীবাহী লঞ্চে।