কাজ সম্পূর্ণ না করার অপরাধে উপহাস করা হয়েছিল তাকে। অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেন ব্রিটিশ সরকারের রেল ইঞ্জিনিয়ার বারোগ। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত নাকি তার ‘আত্মা’ ঘুরে বেড়ায় ‘টানেল ৩৩’এ। কালকা-শিমলা রেলপথের দীর্ঘতম সুরঙ্গ হলো ‘টানেল ৩৩’।
এই সুরঙ্গ পার করতে ট্রেনে সময় লাগে আড়াই মিনিট। সেখানেই রয়েছে এক ভৌতিক কাহিনী। ঘটনার সূত্রপাত ১৮৯৮ সালে। ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে কর্নেল বারোগের উপর সুরঙ্গ তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পাহাড়ি এলাকায় তিনি কীভাবে এই কাজ সম্পন্ন করবেন তারই পরিকল্পনা শুরু করেন তিনি।
এই কাজের জন্য ব্রিটেন থেকে চলে আসেন শিমলায়। আর তখন সবসময় তার সাথে থাকতো পোষ্য কুকুর। এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য তার ওপর রীতিমতো চাপ তৈরি করে ব্রিটিশ সরকার। এমনকি যে সময় তাকে বেঁধে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে কাজটি করা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয় তাকে। এতো কম সময়ে তিনি কীভাবে কাজ করবেন তাই ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি।
বেশি শ্রমিক জোগাড় করে দু’দিক থেকে সুরঙ্গ তৈরীর কাজ শুরু করেন তিনি। তবে তার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
সময়ে কাজ শেষ করতে না পারার জন্য তাকে জরিমানা দিতে হয়। এমনকি ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে তাকে উপহাসও করা হয়। ফলে ধীরে ধীরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে সুরঙ্গের ভেতরেই আত্মহত্যা করেন তিনি।
সুরঙ্গের ভিতরে তিনি যখন নিজের উপর গুলি চালিয়েছিলেন তখন তার কুকুরটি চিৎকার করে ডেকেছিল। তবে সেটি কারো কানে পৌঁছায়নি। পরে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে কাছের স্টেশন তার নামে রাখা হয়। সুরঙ্গের পাশেই কবর দেওয়া হয় থাকে। এরপর তার সেই অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেন আরেক ইঞ্জিনিয়ার এইচএস হার্লিংটন।
যদিও প্রধান সুরঙ্গ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে সুরঙ্গ তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। আর তার এই পরিকল্পনা সফল হয়। স্থানীয়দের মতে অন্ধকার হলেই নাকি এই সুরঙ্গের ভেতরে বারোগের আত্মাকে ঘুরতে দেখা যায়। কখনো কোনো কালো ছায়া দেখা যায় আবার কখনো কথা বলার শব্দ শোনা যায়। স্থানীয়রা একাংশ যেমন এতে বিশ্বাস করেন আবার অনেকে মনগড়া কাহিনী বলেও উড়িয়ে দেন।