ঘূর্ণিঝড় বিদায় নিলেও গরমের গুমোট ভাব কমেনি। আর এই কারণে প্রতিদিন আদ্রতাজনিত অস্বস্তি বেড়ে চলেছে। আর এরফলে গরমে নাভিশ্বাস উঠছে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায়। গুমোট গরম থেকে বাঁচতে সকলেই নানান উপায় খুঁজছেন। আর তার মধ্যে সবথেকে কার্যকরী উপায় হলে এসি কিংবা কুলার। এই দু’টি জিনিসই বাঁচাতে পারে অস্বস্তিকর গরম থেকে।
এসি কিংবা কুলার কিনলে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ-এর বিল যে অনেকটাই বেশি আসবে তা আর বলে দিতে হবে না। এ বিষয়ে সকলেই অবগত। কিন্তু গুমোট গরম থেকে বাঁচার জন্য এখন প্রায় সকলেই এসি কিংবা কুলার কিনতে চাইছেন৷ কিন্তু আগেকার দিনে এই দু’টি জিনিস দেখা যেতো উচ্চবিত্তদের বাড়িতে। কিন্তু বর্তমানে এমন গরমের দাপট যা সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না কারোর পক্ষে।
তাই মধ্যবিত্তরাও টাকা জমিয়ে কিনে ফেলছেন এই বৈদ্যুতিন। তবে এতে করে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ-এর বিলও আসছে প্রচুর। এমন সংকটময় অবস্থায় ডঃ অজয় শঙ্কর মিশ্র এক অভিনব কৌশল আবিস্কার করেছেন। বিদ্যুৎ-এর বিল বাঁচানোর জন্য অভিনব পদ্ধতিতে তিনি আবিস্কার করেছেন এয়ার কুলার। যা কোনোরকম বিদ্যুৎ ছাড়াই চলবে দিব্যি। এর জন্য কেনোরকম টাকাপয়সার দরকার হবে না।
গরম থেকে তাতে বাঁচবেন সকলে এমন এয়ার কুলার থাকলে। ডঃ অজয় শঙ্কর মিশ্র সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক৷ তিনি মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। তার তৈরি করা এই এয়ার কুলার এখন চর্চায় বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। তার তৈরি এয়ার কুলারের নাম দিয়েছেন নমো কুলার। বর্তমানে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ-এর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। গরম বেশি পড়ায় এসি ও কুলারের ব্যবহার হচ্ছে। এর পাশাপাশি অনেকে টোটোর চার্জ দিচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে যখন বিদ্যুৎ,-এর ঘাটতি হচ্ছে সেইসময় নমো কুলার আপনাকে এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচাবে। অনেকটাই কম দামে পাওয়া যাবে এই কুলার। কত দাম তা জানা না গেলেও বাহার চলতি কুলারের থেকে অনেকটাই কম দামে মিলবে এটি। জানা যাচ্ছে, দোকানের দরজায় ৬ বাই ২ হানিকোম্ব পলিকার্বোনেট শীট ইনস্টল করে অ্যালুমিনিয়াম জাল এবং কাঠের কার্ডবোর্ড দিয়ে এটার সঙ্গেই লাগিয়ে হানিকোম্ব শীটের উপর হাফ ইঞ্চি প্লাস্টিকের পাইপ স্থাপন করেছেন।