দাম উঠেছিল ৮০লাখ, পুরুলিয়ায় সন্ধান মিলল ১৫টি শ্বেত পলাশ গাছের
বসন্ত কাল এলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরে যায় লাল পলাশের ছবিতে। পলাশ দেখার সবথেকে ভালো জায়গা হলো পুরুলিয়া। বর্তমানে পুরুলিয়া এই কারণে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেখানে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। তবে লাল পলাশের মতন চোখে না পড়লেও শ্বেত পলাশও প্রবল জনপ্রিয়। যদিও পুরুলিয়ায় লাল পলাশের ঘনঘটা বেশি দেখা যায়৷ তবে সেখানে কয়েকটি শ্বেত পলাশের গাছও রয়েছে।
জানা যাচ্ছে, পুরুলিয়াতে ১৫ টি শ্বেত পলাশের সন্ধান মিলেছে। শ্বেত পলাশকে ঘিরে নানান কথা প্রচলিত রয়েছে। ওই ১৫টি শ্বেত পলাশ গাছ বাঁচিয়ে রাখার জন্য বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে বনদফতর। যদিও বন দফতরের কাছে ওই কয়েকটি শ্বেত পলাশ গাছ বাঁচিয়ে রাখা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু গাছগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা নয়, গাছের ফুল থেকে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে যাতে নতুন গাছ তৈরি করে তা ছড়িয়ে দেওয়া যায় তার চেষ্টা চলছে।
গত বছর পুরুলিয়া শহরের জেলা স্কুল মোড় এলাকার বাসিন্দা আড়শা ব্লকের ভ্রমরটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক প্রথম এই শ্বেতপলাশের কথা সামাজিক মাধ্যমে নিয়ে আসেন। এরপরই শ্বেত পলাশ দেখার জন্য মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সকলেই এই গাছ দেখার জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তবে শুধু পুরুলিয়া নয়, শ্বেত পলাশের গাছ দেখা যায় হুড়া, বাঘমুন্ডি, পুঞ্চা, বান্দোয়ান, বলরামপুর, রঘুনাথপুর, অযোধ্যা পাহাড় এলাকায়।
শ্বেত পলাশ গাছের দাম
শ্বেত পলাশ গাছের দাম ৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ওঠে। যে ব্যক্তির জমিতে এই ফুলের গাছ তিনি নিজেও জানতেন না৷ এরপর এই গাছ থেকে ছাল ছাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই শ্বেত পলাশ একেবারে বিরল। মনে করা হয় এই গাছের দর্শন পেলে পূণ্যলাভ করা হয়৷
তবে গোটা ঘটনাটিতে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে। অনেকসময় এই গাছের নীচে তান্ত্রিকরা সাধনা করেন। এছাড়া শ্বেত পলাশ নাকি শিব ঠাকুরের খুব প্রিয়। তন্ত্র সাধনাতে এই ফুলের জনপ্রিয়তা রয়েছে।
আরও পড়ুন,
*চৈত্র নবরাত্রি তিথির দিনক্ষণ ও শুভ সময়, জানুন নবদুর্গার ৯টি রূপের নাম
*হাওড়ায় ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরির প্ল্যান্ট! ৫০ কোটি বিনিয়োগ, দুহাতে মিলবে কাজ!