কমলালেবুর খোসা ত্বকের পরিচর্যা শুরু করে একগুচ্ছ কাজ সহজেই করে দিতে পারে তাতে কোনো সন্ধেও নেই। এমনকি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্যে করে। তাই ফেলে দেওয়ার আগে একবার ভেবে দেখুন ব্যবহার করুন।
শীতের কয়েক মাসেই বাজারে পাবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তাজা তাজা কমলালেবু। প্রতিদিন তো একটা দুটো খাওয়া হচ্ছে কমলালেবু। আর খোসাগুলো ফেলে দিচ্ছেন। রেখে দিয়ে ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন,
*First Woman DG of CISF: সিআইএসএফ-এর প্রথম মহিলা DG নিনা সিং, নোবেলজয়ী অভিজেতের সঙ্গে প্রকাশ করেছেন দু’টি
*Hair Care: নখে নখ ঘোষলে সত্যিই কি চুল ঝরা বন্ধ হয়? টাকে চুল গজয়? জানুন
ডেজার্ট বানাতে কিংবা কোনও পানীয়তে ফ্লেভারে কমলালেবুর খোসা যোগ করুন। কমলালেবুর খোসাকে মিক্সিতে একটু গুড়িয়ে মিশিয়ে দিন ডেজার্ট। লাজবাব স্বাদ পাবেন।
ককটেল হোক কিংবা চা, কমলালেবুর খোসা মেশালে স্বাদ বাড়বে কোনো সন্ধেও নেই। রোদের তাপে খোসাগুলিকে শুকিয়ে নিন। গরম চায়ের জলে কমলালেবুর খোসা ফুটিয়ে নিন। শরীরের ইমিউনিটি বাড়াই এই ধরণের চা। আর ককটেলে তাজা কমলালেবুর খোসা ব্যবহার করুন।
ব্রণ কমাতে ও ত্বকের জেল্লা বাড়াতে ব্যবহার করে কাজে লাগান কমলালেবুর খোসা। কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করেনিন। গুরুগুলি সংরক্ষণ করে রাখুন। এতে টক দই বা গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে মাখলেই কাজ হবে।
কমলালেবুর খোসা বাড়ির বাসন মাজার সাবান হিসাবে ব্যবহার করুন। ১২ ঘন্টা ১ কাপ রিঠা জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর রিঠাগুলোকে চটকে নিয়ে বীজগুলো ফেলে দিন। এর মধ্যে লেবুর রস, কমলালেবুর খোসা ও সামুদ্রিক নুন ও ভিনিগার মিশিয়ে গরম করে বাসন মাজার কাজে লাগান।
কমলালেবুর খোসা ব্যবহার করে ঘরের দূর গন্ধ তাড়ান। শুকনো কমলালেবুর খোসা, শুকনো গোলাপের পাঁপড়ি, স্টার অ্যানিজ, দারুচিনি, এলাচের মতো মশলা নিয়ে স্প্রে বোতলে মিশিয়ে নিন। এতে ইচ্ছামতো এসেনশিয়াল অয়েল মেশালেই রুম ফ্রেশনার তৈরী।
সন্ধ্যা হলেই বাড়িতে মশা ঢোকা শুরু হয়ে যাই। ছাদবাগান, বালকনিতে, ঘরের মধ্যে পোকামাকড়ের উৎপাত? কমলালেবুর খোসা ঘরের কোণে কোণে ফেলে রাখুন। এতে মাছি, মশা, পোকামাকড় তাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
আরও পড়ুন,
*বছরের শেষে আইনি জটিলতায় কৃতি শ্যানন, কিন্তু কেন?
*ভুলাক্কার! স্মৃতি ফাঁকি দিচ্ছে? সমস্যা কমবে এই তিন খাবার খেলে