মহাকাশ থেকে ‘লাইভ’ কী বার্তা দেবেন সুনীতা উইলিয়ামস

আশা করেছিল, ১৫ দিনের মধ্যে ফিরে আসবেন। উৎপন্ন অবস্থার জন্য এখন সেই ফেরা অনেক দূরে। কিন্তু শুক্রবার রাত ১১:৪৫ মিনিটে লাইভে এসে পৃথিবীর সাথে কথা বলবে সুনিতা উইলিয়াম, বুচ উইলমোর। ফলস্বরূপ পৃথিবীর বাসীদের সুবিধা সুবিধা হবে সামনাসামনি সুনিতা উইলিয়ামদের মুখ থেকে তাদের সংকট ও মহাকাশের কর্মজীবনের কথা জানার।
আগের ৭ই জুন বিশ্বব্যাপী মহাকাশে পদার্পণ করেছে সুনিতা উইলিয়াম ও বুচ উইলমোর।

তাদের মহাকাশযান ওঠার পর অনেক সমস্যা ধরা পড়ে। মহাকাশচারীরা না ঘুমিয়ে সেই সমস্যা নিজেরাই ঠিক করেন। তবে মহাকাশযান অনেক বাধা পেরিয়ে তারা তাদের জায়গায় পৌঁছে যায়। পৌঁছে যাওয়ার পর সব ত্রুটি বা সমস্যা ধরা পড়ে। তারপর সুমিতাদের স্টারলাইনারকে তাদের ছাড়াই ফেরত পাঠানোর কথা দুজনে মিলে ভেবেছিল। নভশ্চররা আটকে আছে বিশ্বব্যাপী স্পেস স্টেশনে।

এই সময়ে সুমিতাদের দেহের স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সাধারণত অনেকদিন মহাকাশযানে থাকলে অনেক দেহে সমস্যা দেখা দেয়। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চোখের সমস্যা। তাই সুনিতাদের প্রতিদিন চোখের পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তার সাথে স্টেশনে অনেক বৈজ্ঞানিক কাজ করে চলেছেন।

নাসা আগেই প্রকাশ করেছেন সুনিতাদের কোন সংকটে পড়ে না। মার্কিন গবেষণার সংস্থা থেকে বলেছেন দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। কার্গো ফ্লাইটে করে পৌঁছে দেয়া হয়েছে জল ,অক্সিজেন, খাবার ,পোশাক। তাছাড়া এখন সুমিতারা নিজেরাই সবজি ফলাচ্ছে ওই খানে। এর ফলে খাবারের কোন অভাব হবে না ঐখানে। সুনিতা ও বুচ গবেষণায় এখন মহাকাশে চাষবাস নিয়ে ব্যস্ত।

কি করে আরো বেশি ফসল চাষ করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা করছেন তারা। নাসার দাবি মহাশূন্যে ঝুলেও স্বাস্থ্যপুণ্য ভাবে থাকার জন্য স্পেস স্টেশনে জিম তৈরি করে দেয়া হয়েছে। ওইখানে তারা হালকা শরীরক্রীড়াঙ্গন করছে। নাসার দাবি তাই তারা ওইখানে ভালোভাবে সুস্থ হবে থাকতে পারবে। আসছে ফেব্রুয়ারির আগে তাদের ফেরা অসম্ভব, বলে জানানো হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন,
*আধার কার্ড নিয়ে বড় ঘোষণা, বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়