গোটা বিশ্ব জুড়ে আয়োজন করা হচ্ছে গ্রহাণু প্রতিরক্ষা মিশনের। এবার সেই মিশনে অংশগ্রহণ করতে চায় ভারত, এমনটাই জানিয়েছেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। বুধবার এই মিশনে অংশগ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি৷ ইসরো প্রধান বলেন, ভারত সবরকমভাবে এই মিশনে অংশগ্রহণ করার যোগ্য৷ তার কথায় কোনো দেশের একার পক্ষে গ্রহাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলা সম্ভব নয়৷
এর জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এস সোমনাথ ব্যাঙ্গালোরে অনুষ্ঠিত ইসরোর সদর দপ্তরে আয়োজন করা একটি সভায় গ্রহাণুর প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। এরপর তিনি জানিয়েছেন, কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ছুটে আসাতে তাতে শুধু পৃথিবীর জন্য চিন্তার কারণ তাই নয়, বরং বিজ্ঞানীদের কাছে নতুন আবিষ্কারের দিগন্ত খুলে যাওয়া।
ইসরো প্রধান বলেন, ওই গ্রহাণুকে বিশ্লেষণ করলে জানা যাবে মহাবিশ্বের গঠন, পৃথিবীতে প্রাণীর উৎপত্তি সম্পর্কে বহু অজানা ইতিহাস। তার মতে, আন্তর্জাতিক এই মিশনে ওই গ্রহাণর প্রকৃতি জানা ও গবেষণা করার পথে ভারত একটি যোগ্য দাবীদার। ২০২৯ সালে গ্রহণও অ্যাপফিস অধ্যয়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ইসরো প্রধান।
গ্রহাণু নক্ষত্রের মতন নয়৷ এছাড়া গ্রহাণু গোলাকারও নয়৷ এগুলি এক ধরনের পাথুরে বস্তু যা অনবরত সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করছে। মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের বেল্টেই গ্রহাণু রয়েছে। এদের আকার কয়েক মিটার থেকে কয়েকশো কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর ঘর্ষণ হলে বড়সড় প্রভাব পড়বে। এর পাশাপাশি সৌরজগত সম্পর্কে অনেকিছু জানা যাবে।
আর এই মিশনে যোগ্য দাবীদার হলো ভারত, এমনটাই দাবি করেছেন এস সোমনাথ। তিনি জানান, সূক্ষ্ম মহাকাশযান নেভিগেশন এবং ক্যাপচারের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের দক্ষতা ভবিষ্যতে গ্রহাণু অধ্যয়নের ক্ষেত্রে খুবই জরুরি বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে। তাই পৃথিবীতে ছুটে আসা গ্রহাণুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন ইসরো প্রধান।