অনেকেই এমন রয়েছেন যারা দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার ফলে বেলা ১২টার পর খাবার খান। আর এর ফলে সকালের খাবার খাওয়া এড়িয়ে যান। কেউ কেউ কর্মব্যস্ততার জন্য সকালের খাবার খাওয়ার সময় পান না৷ আর এই অনিয়মের ফলে বাড়তে থাকে ওজন। কিন্তু সকালের খাবার কখনোই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রাতরাশ করা খুবই জরুরি।
সুস্থ স্বাভাবিক শরীরের জন্য প্রাতরাশ যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই কখন খাচ্ছেন ও কী খাচ্ছেন সেটিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের মাধ্যমে প্রতিটি কোষে গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। তাই প্রাতরাশের তালিকায় এমন কিছু রাখা উচিত নয় যা গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
ডায়াবেটিস থাকলে সকালের খাবারে ফাইবার থাকা জরুরি। সকালে যাই ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া যায় তাহলে পেট অনেকক্ষণ ভরপুর থাকে। এরফলে খিদে পায় না। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া সকালের খাবারে ওটস্, ছোলা তালিকায় রাখতে পারেন।
অনেকেই রয়েছেন যারা সকালের খাবারে পাউরুটি কিংবা রুটি খান। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের খাবারে শর্করার পরিমাণ একেবারেই কম রাখা উচিত। সকালের খাবারে আলু, ময়দা কিংবা ভাত রাখা উচিত নয়।
প্রতিদিন ফল খাওয়া স্বাস্থ্যকর হলেও প্যাকেট করা ফল খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। ফলের রস না খেয়ে গোটা ফল খেতে হবে।
সকালের খাবারে এক বাটি পেঁপে, পেয়ারা, আপেল, বেদানা, নাসপাতি সব ফল মিশিয়ে স্যালাড হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি মাশরুম সিদ্ধ করে তাতে শসা, টমেটো, পেঁয়াজ কুঁচি ও সামান্য মাখন দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তাতে দিতে পারেন গোলমরিচের গুঁড়ো।
সকালের খাবারে রাখতে হবে বেশি মাত্রায় প্রোটিন। চিকেন স্যালাড বানিয়ে খেতে পারেন৷ প্রোটিন রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এরফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরও পড়ুন,
*মদের সাথে এই সব খাবার খেলেই বিপদ, সতর্ক হন
*টাকে লাগালেই চুল গজাবে! জানুন কি পাতা