ইটের জবাব পাটকেলে নয়, তার বদলে ভালোবাসার সাথে উত্তর দেয় ভারত।আরো একবার তা প্রমাণ করলো।বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইলিশ পাঠানো বারন করা হলেও, মুক্ত হস্তে ভারত বাংলাদেশে রপ্তানি করছে পেঁয়াজ। শুক্রবার সরকারের পক্ষ থেকে সরবরাহ শুল্ক অর্ধেক করে দেয়া হয়েছে। এর জন্য বাংলাদেশ অনেক কম টাকায় পেঁয়াজ পাবে।
প্রতিবেশী দেশের ব্যাকুল অবস্থার প্রতিক্রিয়া পড়েছে বাণিজ্যে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর আন্দোলন থেকে শুরু করে হাসিনা সরকারের অবনতি,নতুন সরকার গঠন অস্থিরতার অবস্থাতে বাংলাদেশ। এর প্রতিক্রিয়া পড়েছে ভারতের সাথে সম্পর্কে। আওয়ামী লীগের সরকারের অবনতির সময় যে অস্থির অবস্থা চারপাশে হয়েছিল,তখন বাংলাদেশের প্রবেশের পথ বন্ধ করতে হয়েছিল সীমান্তে।
বন্ধ রাখা হয়েছিল বেচাকেনা। পরে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আংশিকভাবে শুরু করা হয় বাণিজ্য।অবস্থা যে স্বাভাবিক হয়েছে, না বলাই ভালো।
এই অবস্থাতে বাংলাদেশের সরকার মৎস্য ও প্রাণী দপ্তরের সরকার ফারিদা আখতার পরিষ্কার জানায়,যে দুর্গা পুজোতে এবার ভারতে ইলিশ পাঠানো হবে না।বাঙ্গালীদের এই সংবাদে ভেঙে গেছে মন।
বাংলাদেশ মুখ ফিরিয়ে নিলেও, ভারত কিন্তু ব্যবহার করেনি।শুক্রবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ শুল্কো কমিয়েছে বলে জানানো হয়। ভারতের এই সংবাদের বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নিশ্চিন্ত। বাংলাদেশের চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে পেঁয়াজ। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে না পারায়, পাকিস্তান ও মিশরের দরজায় যেতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
তারা কিন্তু পেঁয়াজের দাম কমায়নি। এর জন্য বেশি টাকা দিয়েই পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে বাংলাদেশকে।বাংলাদেশদের ছড়া দামের জন্য চোখে জল এসেছিল। ভারতের এই ঘোষণার জন্য নিশ্চিন্তে হয় বাংলাদেশ। ভারতের রপ্তানির দাম কমানোর জন্য বাংলাদেশের মার্কেটে পেঁয়াজের দাম কমবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন,
*মহাকাশ থেকে ‘লাইভ’ কী বার্তা দেবেন সুনীতা উইলিয়ামস