বর্তমানে রান্নার গ্যাসে নামমাত্র ভর্তুকি দেয় কেন্দ্র। তারই মাঝে এবার কয়েক মাস ভর্তুকি পাননি অনেক গ্রাহক। তা নিয়ে এবার অভিযোগ জমা হয়েছে গ্রাহকদের মনে। খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, অনেক গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তাদের গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আর তাই তারা ভর্তুকি পাননি। তবে সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, গত একবছর ধরে গ্রাহকদের যে সমস্যাগুলি হচ্ছে তা নিয়ে গ্যাসের সংস্থাগুলিতে বিস্তারিত তালিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক।
এই তালিকা হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে তা কয়েক কোটি টাকার বিষয়। যদিও তেল সংস্থাগুলি তা গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটারদের কাছে পাঠিয়েছে। এর পাশাপাশি যে গ্রাহকদের এমন সমস্যা হচ্ছে তাদের কেওয়াইসি সমস্ত তথ্য দ্রুত সংশোধন করার মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যে গ্রাহকরা ভর্তুকি নিতে চান না তাদের লিখিতভাবে তা জানিয়ে দিতে হবে।
এর পাশাপাশি অনেকে প্রশ্ন করছেন, দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস সংযোগের সঙ্গে আধারভিত্তিক কেওয়াইসি জোড়া প্রক্রিয়া চালাচ্ছে তেল সংস্থাগুলি। এরপরেও গ্রাহকদের ভর্তুকি পেতে বেগ পেতে হচ্ছে কেনো? তবে এই সমস্যার যাতে সমাধান করা যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে রান্নার গ্যাসের দাম ৮২৯ টাকা। গ্যাস কেনার পর ১৯.৫৭ টাকা ভর্তুকি পান গ্রাহকেরা। সেই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
জেলাগুলিতে এই ভর্তুকি কোথাও ৪ টাকা আবার কোথাও ১০ টাকা। কোনও কোনও জায়গায় গ্রাহক ভর্তুকি পান না৷ এমন চড়া দামে গ্যাস কেনার পরও ভর্তুকি না জমা হওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে এই বিষয়ে সর্বভারতীয় এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বিজন বিশ্বাস বলেন, প্রযুক্তিগত কারণের জন্য নাম বাদ চলে গিয়েছে। তিনি আরও জানান, ভর্তুকির অঙ্ক এত কম হওয়ায় অধিকাংশ গ্রাহক তা লক্ষ্য করেননি।
মন্ত্রকের কাছে সেই তালিকা এসেছে। এরপর ফের আধারভিত্তিক কেওয়াইসি শুরু করা হবে। ইন্ডিয়ান অয়েলের তরফে জানানো হয়েছে, “ভর্তুকি না পাওয়া গ্রাহকের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে তা নয়। এটা নিরন্তর প্রক্রিয়া। আমরা ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি যাতে সব গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা ঢোকে।”