অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতের অন্যতম জিমন্যাস্ট “দীপা কর্মকার”! কিন্তু কেনো তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন?

kmc 20241008 130338 95rytySM6L

দীপা কর্মকার‌কে আমরা কম বেশি সকলেই চিনি। তিনি জিমন্যাস্টিক্স এর একজন অন্যতম জিমন্যাস্ট। ২০১৬ সালে রিয়ো অলিম্পিক্সে মহিলাদের ভল্ট ইভেন্টে তিনি সামান্যর জন্য পদক জয়ি হননি। পদক জয় করতে না পারলেও তার প্রতিভা কিন্তু মন কেড়েছিল জনগণের।দীপা কর্মকার রিয়ো অলিম্পিক্সে মহিলাদের ভল্ট ইভেন্টে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিলেন।

জানা গেছে, দীপা কর্মকার জিমন্যাস্টিক থেকে অবসর নিতে চলেছেন। গত সোমবার দীপা জানান যে সে জিমন্যাস্টিক্স থেকে এবার অবসর নেবেন। তিনি বলেন, ‘‘অনেক সিদ্ধান্ত করে জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি”। জিমন্যাস্টিক্স দীপার প্রান তাই তার পক্ষে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন ছিল।জিমন্যাস্টিক্স এ থাকাকালীন নানান চড়াই উত্তরায় এর মধ্য দিয়ে গেছেন তিনি। এখানে থাকাকালীন অনেক সাফল্য পেয়েছেন তিনি আবার মাঝেমধ্যে ব্যর্থও হয়েছেন।

দীপা কর্মকার এটাও জানান,” তার যখন বয়স মাত্র পাঁচ বছর তখনই ,তাকে একজন বলেছিলেন,সে নাকি কখনো জিমন্যাস্ট হতে পারবে না “। সেই ব্যক্তিটি তাকে এই কথা বলেছিল কারণ, দীপার পায়ের পাতা পুরোপুরি সমান। দীপা বলেন,২০১৬ সালের রিয়ো অলিম্পিক্সে প্রোদুনোভা ভল্ট মারতে পারা তার জীবনের সেরা একটি দিন। দীপা কর্মকার গোটা দেশের হয়ে রিয়ো অলিম্পিক্সে জিমন্যাস্ট করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেন।

দীপা কর্মকার শেষ পদক জিতেছেন এশিয়ান জিমন্যাস্টিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে,যেটা কিনা আয়োজিত হয়েছিল তাসখন্ডে। দীপা জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসর নিলেও তার মন কিন্তু এখনো পড়ে আছে সেখানেই। তিনি ভাবছিলেন আরো কয়েকটি বছর চেষ্টা করে জিমন্যাস্টিক্স চালিয়ে যাবেন, কিন্তু তার শরীর আর পেরে উঠছিল না। সবকিছু ভেবেই তিনি জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে দীপা জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসর নিলেও, জিমন্যাস্টিক্স থেকে কখনোই দূরে সরে যাবেন না।জানা গেছে পরবর্তীতে তিনি কোচ হয়ে বহু জিমন্যাস্ট এর পাশে থাকতে চান।

দীপা কর্মকার বলেছেন,” আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবো আমার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী ও সোমা ম্যামকে “। গত ২৫ বছর ধরে যদি তারা আমার পাশে না থাকতেন, আমাকে সাহায্য না করতেন তাহলে হয়তো আমি এই জায়গাতে কখনো পৌঁছাতেই পারতাম না। আমি জিমন্যাস্টিক্স থেকে যতটা অর্জন করতে পেরেছি সবটাই তাদের জন্য। আমি আমার পরিবারের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারাও সব সময় আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট করেছেন।