সম্প্রতি একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একটা মেট্রোতে একদল “জয় শ্রীরাম”ধ্বনি দিচ্ছেন। জানা গেছে, ঘটনাটি নাকি মুম্বাইতে যটেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পূজা ভট্ট প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন,”এখন থেকে তাহলে সব জায়গাতেই খোলামেলাভাবে ধর্মীয় নাম কীর্তন হবে?। এই কথা বলাতে পূজাকে ট্রোলের শিকার হতে হয়। কিন্তু তার মন্তব্য মানুষকে ভাবাচ্ছে। অথচ কিছুদিন আগে পূজা ভট্ট কে মহাদেবের ছবি আঁকা পোশাক পড়ে ও কপালে তিলক কাটা সাজে দেখতে পাওয়া গেছিলো।
একটি সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, সেই মেট্রোতে নাকি তরুণ তরুণীগণ নবরাত্রি পালন করার জন্য “জয় শ্রীরাম” ধনী দেয়। কিন্তু সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, পূজা ভট্ট কেন এই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানালেন? এ প্রসঙ্গে পূজা বলেন,”হিন্দু ধর্ম হোক কিংবা অন্যান্য ধর্ম হোক, কিভাবে মানুষকে ধর্মীয় গান যেখানে সেখানে গাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়? জানি প্রত্যেকটা মানুষের অধিকার আছে তার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করার, কিন্তু তাই বলে এভাবে যেখানে সেখানে ধর্ম পালন করাটা একেবারেই অনুচিত।
পূজা ভট্ট এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানানোর পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে কটাক্ষ শুরু হয়ে যায়। তারা বলেন, “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি দেওয়া যাত্রীরা সেই কামরাটি পুরোটাই ভাড়া করে নিয়েছিলেন। পাশের কামড়াটিতে তো নিজেদের মতো করে “জয় শ্রী রাম” ধ্বনি দিয়ে ধর্ম পালন করা হয়নি। পূজার প্রতিবাদ জানানোর জন্য নেটিজেনরা পূজাকে ‘ধর্ম বিরোধী’ আখ্যা দিয়েছেন।