ডিসেম্বর শেষে এবং নতুন বছরের শুরুতে প্রতিবার দক্ষিনবঙ্গে ঠান্ডার আমেজ থাকে বেশ ভালো। কিন্তু এদিন বুধবার সকাল থেকেই যেনো অন্যরকম ছবি। বড়দিনের জাঁকিয়ে পড়া শীত উধাও হয়েছে সকাল থেকেই। সূর্য মেঘের আড়ালে উঁকি দিচ্ছে। গোটা দিন ধরেই ছিল আকাশের মুখ ভার। আকাশ দেখলে জুলাই বা আগস্ট মাসের আকাশ ভেবে ভ্রম হয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পৌষ মাসের মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।
আর এই কারণে আকাশের মুখ রয়েছে ভার। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে বৃষ্টির এমন অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার নেপথ্যে কাজ করছে সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সপ্তাহান্তে বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার রাত থেকেই ধীরে ধীরে কালো হতে শুরু করে আকাশ। বুধবার সকাল বেলায় মনমরা আবহাওয়া বিরাজ করেছে গোটা দিন। বড়দিনের কনকনে ঠান্ডা উধাও হয়ে গিয়েছে।
কলকাতা সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার বড়দিনেও হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে বৃষ্টির কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এর পাশাপাশি আগামী শনিবার ও রবিবার বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে। তবে কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুকনো আবহাওয়া বিরাজ করবে। এর পাশাপাশি সকালের দিকে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতার অভাব ঘটতে পারে। আগামী তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা কমবে দুই থেকে তিন ডিগ্রি। তারপরে এক দুই দিনে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা। আপাতত জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় আগামী শুক্রবার পর্যন্ত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। তবে সপ্তাহান্তে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং-এ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি দার্জিলিং-এ তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি।