আগামীকাল অর্থাৎ ৭ই ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনে আয়োজিত হতে চলেছে রবি উৎসব। যদিও বর্তমানে রবি ঠাকুরের জন্ম কিংবা মৃত্যুদিন নেই তবুও শিল্পী সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের কথায় রবি ঠাকুরকে বছরের যেকোনো সময় স্মরণ করা যায়। তিনি বাঙালির হাসি কান্না দুঃখ সুখ সবেতেই নিজের অস্তিত্ব মনে করিয়ে দেন। তাই এমন শীতকালীন এক তারিখে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্র-সংগীতশিল্পী প্রয়াত নীলিমা সেনের বাড়ি ‘সোনাঝুরি’তে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই অনুষ্ঠান।
এই অনুষ্ঠান আয়োজন করছে শিল্পী সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের আন্তঃসাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠী ‘এস পি সি ক্র্যাফ্ট’। জানা যাচ্ছে, এই উৎসব আয়োজন করার উপলক্ষে হিসেবে সুজয়ের হাতে তৈরি সংস্থার ষষ্ঠ বার্ষিক উদযাপন। সুজয়ের সংস্থার পাশাপাশি রয়েছে তার সঙ্গী বাচিক শিল্পী চৈতালি দাশগুপ্তের সংস্থা ‘শ্রাবস্তী’ এবং প্রকাশনী সংস্থা ‘বীরুৎজাতীয় সাহিত্য সম্মেলনী’।
একসময় শান্তিনিকেতনের ‘সোনাঝুরি’ বাড়িটা ছিল শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম পীঠস্থান। সেখানেই আয়োজিত হতে চলেছে এই অনুষ্ঠান। সুজয়ের কথায়, “উন্মুক্ত প্রকৃতির মাঝে এই শিল্পচর্চা আমি আমার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে জারিত করতে চেয়েছিলাম। শান্তিনিকেতনের কোনও প্রেক্ষাগৃহে আমি এই অনুষ্ঠান করতেই পারতাম। কিন্তু সেটা করতে চাইনি। এই বাড়িতে অনুষ্ঠান করা আমাদের কাছে অত্যন্ত সম্মানের।”
এই অনুষ্ঠানকে দু’টি অর্ধে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমার্ধে ভাষ্য পাঠের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে রবীন্দ্রনাথের নাটকে স্বদেশচেতনার বিষয়টি। এর মধ্যে শুধুমাত্র স্বদেশচেতনা নয়, তার সঙ্গে থাকবে জাতীয়তাবোধ ও গোটা দেশ জুড়ে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক টানাপোড়েন প্রসঙ্গেও লেখা, যেটি লিখেছেন প্রকৃতি মুখোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে সুজয়ের ছাত্রছাত্রীরা ভাষ্যের পাঠ করবেন। ভাষ্যের গান গাইবেন প্রত্যুষ মুখোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ধাপে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়েও রয়েছে অনুষ্ঠান। এই দ্বিতীয় পর্বের নাম ‘রবি ও রথী’। এই ধাপের একটি ভাষ্য লিখেছেন চৈতালি দাশগুপ্ত যেটি ঠাকুরবাড়ির পিতা এবং পুত্রকে নিয়ে গবেষণাধর্মী বিষয়ক লেখা। ভাষ্যপাঠে থাকবেন সুজয় ও পরন্তপ কেতন। ভাষ্যের গান গাইবেন ঋতপা ভট্টাচার্য্য, প্রিয়ম মুখোপাধ্যায় দীপাঞ্জন পাল ও প্রকৃতি মুখোপাধ্যায়।