ধীরে ধীরে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। ডিসেম্বর শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ায় ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করছে। ধীরে ধীরে শীতাকালের কনকনে ঠান্ডায় কাঁপতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গা। এই সময় সর্দি, কাশি একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ঘরে ঘরে এই সমস্যা দেখা দেয়। যদি বাড়িতে ছোটো বাচ্চা থাকে তবে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
এই ভাইরাল ইনফেকশন বা জ্বর হলে তা ঠিক হতে ৭ দিন সময় লাগে এবং শরীরের দুর্বল ভাব কাটিয়ে উঠতে আরও ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগে। তাই এই সময় রগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু কীভাবে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলবেন তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। তবে তার জন্য ডায়েটের কিছু জিনিস যোগ করতে হবে। আর সেগুলি থাকলেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড – ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এতে রয়েছে প্রদাহনাশক বৈশিষ্ট্য। এটি অসুস্থতা ও সংক্রমণের তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে। তাই ওমেগা ৩ ফ্যাট অ্যাসিড রয়েছে এমন খাবার খেতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে চীয়া বীজ, শণের বীজ, আখরোট, মটরশুটি, পালং শাক। এর পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছেও এই উপাদান বর্তমান।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট – অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের অতিরিক্ত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হয় না। এর পাশাপাশি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়৷ পালং শাক, গাজর, আলু, মিষ্টি আলু, কিউই, ব্লুবেরিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ভিটামিন-সি – ভিটামিন-সি যা মানব দেহের টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে। শিশুদের সামগ্রিক বিকাশ ও স্বাস্থ্যের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন-সি টিস্যু মেরামত করতে ও কোষগুলিকে স্থায়ীভাবে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এর পাশাপাশি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে। ভিটামিন-সি পাওয়া যায় এমন খাদ্য হলো কমলালেবু, স্ট্রবেরি, ব্রকলি, কিউই ইত্যাদি।