উড়ানে করে কোথাও যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া হিসেবে আমাদের টিকিট কাটতে হয়। কিন্তু টিকিট কাটার সময় এমন কিছু পরিষেবার জন্য টাকা দিতে হয় যে পরিষেবাগুলি যাত্রীদের বিশেষ ব্যবহারে লাগে না। কিন্তু সেই পরিষেবাগুলি কাজে না লাগলেও তার জন্য টাকা দিতে হয়। পরিষেবাগুলি দরকার না হলেও টাকা দিচ্ছেন যাত্রীরা।
এমন পরিস্থিতিতে বিমান সংস্থাগুলিকে ‘অপ্ট ইন’ পদ্ধতিতে ভাড়া নিতে হবে। এই পদ্ধতিতে যাত্রীরা যে যে পরিষেবাগুলি উপভোগ করতে চান শুধুমাত্র তার ভাড়া দিলেই হবে। এর অতিরিক্ত কোনো ভাড়া দিতে হবে না। যদিও বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ‘অপ্ট আউট’ পদ্ধতিতে ভাড়া নেওয়া হয় বিমান সংস্থার তরফে।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্ত পরিষেবার জন্য টাকা দিতে হয় যাত্রীকে। তারা যদি কোনো পরিষেবা দরকার মনে না করেন বা প্রয়োজন না হয় তবুও তার জন্য ভাড়া দিতে হয় কিন্তু বর্তমানে যে পরিষেবা যাত্রীরা পেতে চাইবেন শুধুমাত্র তার ভাড়া দিতে হবে বিমান সংস্থাকে। যে পরিষেবা দরকার হবে না তা নির্দিষ্ট করে বলতে হবে। এতে করে প্রয়োজনের বেশি কোনো ভাড়া আর দিতে হবে না।
ডিজিসিএ-এর তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৭টি ক্ষেত্রে ভাড়ার টিকিট আলাদা করতে হবে। আর সেগুলি হলো পছন্দের আসন, খাবার, এয়ারলাইনস লাউঞ্জের ভাড়া, চেক-ইন ব্যাগেজ ফি, খেলাধুলার সামগ্রীর ভাড়া, বাদ্যযন্ত্রের ভাড়া, ব্যাগে যদি মূল্যবান জিনিস থাকে তার ভাড়া। এই ৭টি জিনিসের ভাড়া এয়ার টিকিটের থেকে আলাদা করে দেওয়া হলে বিমানের টিকিটের ভাড়া অনেকটা কমে যাবে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিসিএ জানাচ্ছে, উড়ান সংস্থা পরিষেবা দেওয়ার নাম করে টিকিট কাটার সময় যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে। কিন্তু সমস্ত পরিষেবা যাত্রীদের প্রয়োজন হয় না৷ আর তাই টিকিটের দাম পৃথক করা হয়েছে। যাত্রী যাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা না দেয় তার জন্য এই ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন,
*Sreelekha Mitra: ‘কালীর নরকঙ্কালের মুণ্ডমালায়..’ জোজোর ছেলে’কে ট্রোল, প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন শ্রীলেখা
*কাককে এই কাজ করতে দেখলেই অর্থ লাভ, জানুন শুভ ও অশুভ লক্ষ্মণ