পুজোর মরশুমে পুরোনো স্মৃতি হাতড়ে অকপট শ্রাবন্তী

kmc 20241009 204114 liqDljNT7j

পুজো একেবারে দোরে কড়া নাড়ছে। দেখতে দেখতে বহু প্রতীক্ষার অবসান। বাঙালির সবচেয়ে কাছের উৎসব দুর্গা পুজো এসে গিয়েছে৷ এই সময় কাপড়ের ভাজ ভেঙে মা কাকীমারা যেমন শাড়ি গায়ে তোলেন তেমনই ছোটো থেকে বড় সকলেই নতুন জামা গায়ে দেয়। ঢাকে পড়ে কাঠি এবং বাঙালির মন আনন্দে ভরে ওঠে। আকাশের নীল রঙের উপর সাদা রঙের মেঘ যেনো কেউ তুলি দিয়ে এঁকে দিয়ে যায়৷ মাঠে মাঠে ভরে থাকে কাশফুল।

এমন সময় প্রতিমা তৈরির শেষ মূহুর্তের কাজ চলতে থাকে কুমোরটুলিতে৷ এমন সময় সেখানে হাজির হলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। কুমোরপাড়ার শিল্পীদের শেষ তুলির টান দিতে যখন ব্যস্ততার চূড়ান্ত সেই সময় সেই পরিবেশে নিজেকে একটু রাঙিয়ে নিলেন অভিনেত্রী। স্মরণে আনলেন পুরোনো দিনের কথা। ঘিয়ে রঙের শাড়িতে সেজে তার সঙ্গে মানানসই করে পরেছেন সোনার নেকলেস। সিঁথিতে সিঁদুর উঁকি দিচ্ছে।

একেবারে পুজোর সাজে তৈরি শ্রাবন্তী। পুজো এসে গেলো, কেমন লাগছে অভিনেত্রীর? শ্রাবন্তীর কথায়, “আকাশে-বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। এই সময়টায় সব থেকে ভাল লাগে শরতের আকাশ দেখতে।” কুমোরটুলিতে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হল তিনি এর আগে এখানে এসেছেন কিনা! সেই প্রশ্নে অভিনেত্রীর জবাব, “আমি আগেও এসেছি। কুমোরটুলিতে এলেই মনে হয় দুর্গাপুজো চলে এসেছে। ঢোকার মুখে শিল্পীদের দেখলাম, কেউ মায়ের চক্ষুদান করছেন, কেউ অস্ত্র দিচ্ছেন।মনে হচ্ছিল স্তব্ধ হয়ে দেখেই যাই শুধু।”

পুজো মানেই অভিনেত্রীর কাছে সাবেকি সাজ। শাড়ি, গয়না পরে রীতিমতো বাঙালি সাজে নিজেকে রাঙিয়ে তোলেন তিনি৷ তিনি বলেন, “এমনিতে খুব একটা শাড়ি পরা হয় না। পুজোর সময়ে তাই নিজেকে শাড়িতে দেখতেই ভালবাসি। বিশেষত অষ্টমীর সকাল-সন্ধে পুরো সময়টাই শাড়ি। নিজেকেই প্রতিমার মতো সাজিয়ে তুলি।” পুজোর ক’টা দিন নিজেট মতন করে সাজেন তিনি, তা জানাতেও ভুললেন না।

তবে তার ছোটোবেলার স্মৃতি অনেক দামি। আগে পাড়ায় পুজোতে হাজির হতেন তিনি৷ সেখানে তাকে যে প্রশংসা করা হতো তা যেনো এখনও মনে রয়েছে তার। তিনি বলেন, “ছোটবেলায় অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। একই মণ্ডপে দু’জনের যাওয়া, প্রতিমার সঙ্গে আমার তুলনা শুনেছি। তোমায় দুর্গা প্রতিমার মতোই দেখতে, এর থেকে বড় প্রশংসা আর কী হতে পারে।”