পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের কোনো না কোনো জিনিস সংগ্রহের শখ রয়েছে। বিভিন্ন মুদ্রা থেকে শুরু করে টিকিটের মতো জিনিস সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন মানুষদের। তবে আপনি কি কখনো শুনেছেন এমন মানুষও রয়েছে যিনি মানুষের চামড়া সংগ্রহ করতেন?
কী অবাক হলেন তো? তবে এমনটাই সত্যি। এই অদ্ভুত মানুষের দেখা মিলেছিল জাপান দেশে। জাপানের রাজধানী টোকিওতে অবস্থিত ‘জি.কে.ই ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন’। যেখানে মূলত গবেষকরা বিভিন্ন জিনিস নিয়ে গবেষণা করেন। সেখানেই রয়েছে এক অদ্ভুত জাদুঘর।
এই জাদুঘরের মধ্যে গেলেই দেখতে পাবেন সারি সারি সাজানো মানুষের চামড়া। কোনো কোনো চামড়ায় আবার রয়েছে বিভিন্ন ট্যাটু। এর নেপথ্যে যে মানুষটি রয়েছেন তার নাম ফুকুশি মাসাইচি, যিনি টোকিওর ‘ইম্পেরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়’র অধ্যাপক ছিলেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৮৭৮ সালের ৩০শে জানুয়ারী।
‘টোকিও ইম্পেরিয়াল ইউনিভার্সিটি’ থেকে মেডিসিনে পড়ালেখা শেষ করে উচ্চ ডিগ্রী নিতে জার্মানিতে যান তিনি। ফিরে এসে ‘জাপানি প্যাথলজিক্যাল সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করেন। ডাক্তারির পাশাপাশি তিনি মুগ্ধ ছিলেন বিভিন্ন ট্যাটুর সৌন্দর্য্যে। ধীরে ধীরে তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্যাটু করা চামড়া সংগ্রহ করতে শুরু করেন।
হাসপাতালে কোনো মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এলে সেই ট্যাটু করা চামড়া কেটে রাখতেন তিনি। অনেকে আবার মরণোত্তর চামড়া দান করেও যেতেন। এখানেই শেষ নয় গবেষণার জন্য তিনি টাকা দিয়েও চামড়া কিনতেন। মোট ২০০০ মানুষের চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তবে একটি বিমান হামলায় তার বেশিরভাগটাই হারিয়ে যায়। এখন ওই ইউনিভার্সিটিতে ১০৫ জন মানুষের চামড়া রয়েছে।
আরও পড়ুন,
*তাজ্জব ঘটনা! একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন এক মহিলা
*ছেলেমেয়েরা আদর্শ মানুষ হওয়ার পথে এগিয়ে যাবে, বাবা-মায়েরা করুন এই কাজ