গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটে ৪৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে হোয়াইট হাউসের আসনে বসলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের ফলে এবার নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন সম্পর্ক ফের নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে বলে আশাবাদী বিদেশ মন্ত্রকের একাংশ। জো বাইডেনের সময়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মোটের উপর মসৃণ থাকলেও ভারতীয় বেশ কিছু সংস্থা নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি বদলের পর ভারতের পক্ষে হয়তো কিছু বদল আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে আমেরিকায় থাকা জো বাইডেনের সরকারের আমলে ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করার জন্য ৩৯৮টি সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। যার মধ্যে ভারতের ১৯টি সংস্থা ও ২ জন নাগরিক ছিলেন। তবে গত শনিবার সেই নিষেধাজ্ঞাকে বিবৃতি জারি করে অমূলক বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মিথ্যা অভিযোগে ভারতীয় সংস্থাগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।”
তবে আমেরিকার প্রশাসনিক প্রধান রূপে সিংহাসনে ডোনাল্ড ট্রাম্পেী আবির্ভাব ঘটলে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সদ্ভাব এই পরিস্থিতিকে অনেকাংশে সহজ করে তুলতে পারে।ইউক্রেনর বিরুদ্ধে রাশিয়কে যুদ্ধে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ, আর্থিক লেনদেন ও কূটনৈতিক যোগাযোগে সহায়তা করার জন্য ১২০জন ব্যক্তিকে ও ৪০ সংস্থাকে অভিযুক্ত করেছে আমেরিকার জো বাইডেনের সরকার।
তার মধ্যে রয়েছে ১৯টি ভারতীয় সংস্থা। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের ভোটে অনিয়মের অভিযোগে ভারতের চুপ থাকা, ইউক্রেনের যুদ্ধের আবহে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়াকে তেল আমদানি এবং আমেরিকায় খলিস্তানপন্থী জঙ্গিনেতা গুরুপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে খুনের চেষ্টায় অভিযোগে মোদি সরকারকে একাধিকবার দুষেছে বাইডেনের সরকার।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে এসব পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এর পাশাপাশি পশ্চিমী দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও ভালো হয়ে উঠতে পারে বলেও মনে করছেন বিদেশমন্ত্রকের একাংশ।