উৎসবের ঋতুতে ভুরিভোজ করা অত্যন্ত দরকারি। ঘোরাফেরা আড্ডার মাঝখানেও খেতে হবে। তাই বলে কি সব সময় রান্নাঘরেই থাকবেন? এমনটা কেন! এমন রকমারি রান্না করুন, যা খুব তাড়াতাড়ি রান্না করে ফেলা যাবে। তিনটি মুখরোচক খাবার তৈরীর উপকরণ রইল।
অনেকেই পুজোর দিনে নিরামিষ খাবার খায়। সেটা যদি একটু মুখরস হয় তাতে ক্ষতি কি? এমন এক রেসিপি আলুর স্টিক কাবাব। কি করে বানাবেন? একটা বড় বাসনে ২৫০ গ্রাম আলু সেদ্ধ, ৫ টি ডিম সিদ্ধ গ্রেট করা। ১ চামচ গরম মশলার গুঁড়ো, অর্ধেক চামচ চাট মশলা, গোলমরিচ গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন, আদা বাটা, কাঁচা লঙ্কা কুচি, অর্ধেক কাপ পাউরুটি গুড়ো, পুদিনা পাতা, ধনেপাতার কুচি, ক্যাপসিকাম ও পেঁয়াজ কুচি ভালো করে মেশাতে হবে।
এবার মেশানো হলে সাত থেকে দশটা ভাগে ভাগ করুন। প্রত্যেকটা ভাগ যাতে একই রকম হয়, শিক কাবাবের মত কাঠিতে গুজে নিন। এবার তিন থেকে পাঁচ মিনিট ভেজে নিন মাইক্রোওভেনে ২০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। অথবা সামান্য তেল দিয়ে কড়াইতে ভেজেনিন। তারপর বাটার লাগিয়ে আবার পাঁচ মিনিট ভাজুন। পরিবেশন করুন স্টিক পটেটো। গরম গরম একদম।
এখন সবার বাড়িতেই পাউরুটি খাওয়ার চলাচল আছে। সকালবেলার জলখাবারে। প্রতিদিন একঘেয়ে বাটার টোস্ট বা ডিম টোস্ট না করে পাউরুটির রোল বানিয়ে ফেল। সরু পাউরুটি নিন। পাউরুটির লালচে অংশ কেটে বাদ দিন। হালকা করে চেপে নিন পাউরুটিটি। পাউরুটির ভেতরে আপনার পছন্দমত জিনিস দিতে পারেন, ওটা টুকরো করা ফল, জ্যাম, মাংসের পুরো হতে পারে বা হতে পারে আলু সেদ্ধ মাখা। পাউরুটিকে এবার ভালো করে রোল করে ফেলুন। ডিমের সাদা অংশে রোলটি ভেজে নিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে পাউরুটির রোল। এবার পরিবেশন করুন টমেটো চাটনির সাথে।
বাজারে তো অনেক কেক কিনতে পেয়ে যাবেন। বাড়িতে কিন্তু আপনিও কেক তৈরি করতে পারবেন।তাও আবার দশ মিনিটের মধ্যেই চকলেট কেক। সবার প্রথমে কফি কাপের মধ্যে দু তিন ফোটা তেল মাখিয়ে নিতে হবে। তারপর ৪ চামচ ময়দা, ৪ চামচ চিনি, ২ চামচ কোকো পাউডার, দিতে হবে ৩ চামচ গুঁড়ো দুধ। এবার সবগুলোকে মেশান কফি কাপের ভেতরে। এবার আগের মিশ্রণের সাথে ডিমটি ভেঙে দিন আর ভালো করে মেশান। তারপর মাইক্রোওভেনে ১০০ ডিগ্রি – তে তিন মিনিট পর বাইরে বের করুন। বানানো হয়ে যাবে আপনার হাতে চকলেট কেক।
আরও পড়ুন,
*আরো আকর্ষণীয় হতে চলেছে দীঘা! তবে কি পুজোর আগেই সুখবর পেতে চলেছে ভ্রমণ প্রেমীরা?