শীতকাল আসলেই অনেকের ভ্রমণের পরিকল্পনা আরম্ভ হয়ে যায়। কেউ অরণ্যে বা জঙ্গলে যেতে পছন্দ করেন, কেউ আবার কুয়াশাআচ্ছন্ন পাহাড়। এই সময়টা এলেই অনেক মানুষের ট্রেকিংয়ের পরিকল্পনা আরম্ভ হয়ে যায়। পায়ে হেঁটে পরিশ্রান্ত ভরা চোখে পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখার আনন্দই আলাদা। তবে যদি ফাস্ট টাইম ট্রেকিংয়ের যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে কয়েকটি বিবরণ মাথায় রাখবেন, নইলে অসুবিধায় পড়তে পারেন।
শীতের ট্রেকিংয়ে যাচ্ছেন বলে অনেক গুলি শীতের পোশাক নিতে হবে না। ট্রেকিংয়ের সময় বক্সপ্যাঁটরা যত হালকা রাখবেন ততো বেশি সুবিধা হবে। তাহলে শীতের সাথে কিভাবে লড়বেন? এমন গরম জামা কাপড় নেবেন যা বেশি শীতে পড়া যায়। ইচ্ছে হলে কডসুলও নিয়ে নিতে পারেন। আর যেই জায়গায় যাচ্ছেন অবশ্যই সেখানকার আবহাওয়া জেনে নেবেন। এতে আপনারই সুবিধা হবে।
ট্রেকিং মানে কিন্তু কোন শৌখিন হোটেলের থাকা নয়। সব স্থানেই যে স্নানের সুযোগ-সুবিধা পাবেন তার কোন ভরসা নেই, তাই নিজের উদ্যোগেই সুগন্ধি নিতে ভুলবেন না। স্নান করার সুবিধা না থাকলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ব্যবস্থা আর কী!
শুধুমাত্র ট্রেকিং নয়, যেকোন স্থানে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে ফার্স্ট এইড সাথে রাখা দরকার। সর্দিকাশি,জ্বর ,পেটখারাপের প্রাথমিক ওষুধপত্র নেওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। ভারতের জলবায়ু শুষ্ক শীতল। তাই টের না পেলেও শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। অতএব জল পরিশুদ্ধ করার দরকারি ওষুধ নিতে ভুলবেন না।
ট্রেকিং চলাকালীন কখন কোথায় খাবার পাবেন তা আগে থেকে জানা বা বলা অসম্ভব। তাই নিজের সাথে কিছু শুকনো খাবার রেখে দিন। যেমন কেক বিস্কুট, সাথে শুকনো ফলও রাখতে পারেন। তাছাড়াও সাথে রাখতে পারেন কয়েকটা এনার্জি ড্রিংক। কারণ হাঁটতে হাঁটতে পরিশ্রান্ত হয়ে গেলে এগুলো প্রয়োজনে আসবে।
রাস্তায় রাত কাটাতে হতে পারে। তাই সাথে করে তাবু নিয়ে যাবেন। হালকা তাবু কিনতে পাওয়া যায়। ওটা সাথে রাখবে। যেহেতু আপনি অভিনব তাই চেষ্টা করবেন সাথে যেন একজন গাইড থাকে। আর যেই স্থানে যাচ্ছেন, সেখানে আগে থেকেই খোঁজখবর নিয়ে নেবেন কালিম্পং এর ব্যবস্থা কেমন। তাহলে আপনার অনেকটাই সুবিধা হবে।