দীপান্বিতা অমাবস্যায় অলক্ষ্মীকে কেনো বাড়ি থেকে বিদায় করা হয়, জানুন কারণগুলি

অলক্ষ্মী কখনও শুভ নয়৷ এছাড়া অলক্ষ্মী দুর্ভাগ্যের দেবী। এই কারণে অলক্ষ্মীকে কেউ ঘরে তোলেন না৷ অলক্ষ্মী নিষ্ক্রিয়তার প্রতিমূর্তি। এর পাশাপাশি অলসতা, লঘু মস্তিষ্ক ও জড়তার প্রতিমূর্তি হলো অলক্ষ্মী। শাস্ত্র মতে, দেবী লক্ষ্মীর বড় বোন হলো অলক্ষ্মী। সমুদ্রমন্থন কালে দেবী লক্ষ্মীর আগে অলক্ষ্মীর আবির্ভাব ঘটে।

অলক্ষ্মীর দু’টি হাত ও গায়ের রং চাপা। অলক্ষ্মীর গায়ে লোহার গয়না পরা থাকে, এমনটাই লেখা রয়েছে পুরাণে। অলক্ষ্মীর বাহন হলো গাধা। অলক্ষ্মী আরেকটি নামেও পরিচিত, আর সেটি হলো জ্যেষ্ঠা। অলক্ষ্মীকে নিয়ে একটি মতবাদ প্রচলিত রয়েছে। জানা যায়, অলক্ষ্মী আবির্ভূত হওয়ার পর তাকে দেবতা ও অসুরকুলের কেউ গ্রহণ করতে রাজি ছিলেন না৷ সেইসময় তাকে বিবাহ করেন ঋষি দুহসাহা।

তাই অলক্ষ্মীকে দীপান্বিতা অমাবস্যায় বাড়ি থেকে বিদায় করা হয়। এরপর ঘরে মা লক্ষ্মীর পুজো করা হয়৷ অলক্ষ্মীকে বিদায় করার আরও যে কারণ রয়েছে তা হলো অলক্ষ্মী নিষ্ক্রিয়তা, অলসতা, লঘু বা জড় মস্তিষ্কের প্রতিমূর্তি। এই বিষয়গুলি কোনো মানুষ তার জীবনে কাটিয়ে উঠতে পারেন না৷ অলক্ষ্মী লোহার গয়না পরেন৷ এই লোহার গয়না কালো হয়। কালো রং অশুভ ও তামসিক।

এছাড়া কালো রং অন্ধকার ও শোকের প্রতীক। গয়নার ধাতু হিসেবে লোহা নিকৃষ্ট। যেখানে অলক্ষ্মী বাস করেন সেখানে দেবী লক্ষ্মী থাকতে পারেন না। দেবী লক্ষ্মী যে যে বৈশিষ্ট্যগুলি বরদাস্ত করেন না তার সবকটি গুণই রয়েছে অলক্ষ্মীর স্বভাবে। যেখানে নিষ্ক্রিয়তা, অলসতা ও অন্ধকার থাকে না সেখানে মা লক্ষ্মী বিরাজ করেন। তামসিক গুণের উদয় ঘটলেই মা লক্ষ্মী সেই স্থান ত্যাগ করেন। বাড়িতে তাই কখনও অলক্ষ্মীর পুজো করা হয়না। বাইরে কোনও প্রতীক তৈরি করে অলক্ষ্মীর পুজো করা হয়।