বর্তমানে এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে মানুষের মনে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা ভিডিও প্রকাশ করে দেশবাসীকে জানিয়েছেন, এই ভাইরাস মানুষের জন্য বিশেষ ক্ষতিকর নয়৷ ভাইরাসটির অস্তিত্ব নতুন নয়। তাই তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ বিশেষ নেই। যদিও নাগপুর, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, আমেদাবাদের শিশুর দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাবধান হতে ক্ষতি নেই।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধু শিশু নয়, বরং যেকোনো বয়সের মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। শীতকালে কিংবা বসন্ত শুরুর সময় এই ভাইরাসের প্রভাব বেশি থাকে। তবে আতঙ্কের কারণ নেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভাইরাসটি নিয়ে আতঙ্কের কারণ না থাকলেও সাবধান হতে সমস্যা নেই। যদিও এইচএমপি ভাইরাসটি নিয়ে বেশি করে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র।
ভাইরাস থেকে বাঁচতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাত চোখে মুখে না লাগানো সহ একাধিক গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যাদের হাঁচি কাশি রয়েছে তাদের খুব কাছে না যাওয়ায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু ভাইরাস থেকে বাঁচতে নয়, বরং মরশুম বদলালে হাঁচি ও কাশির জীবাণু থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকদের কথায়, জীবাণু ঠেকাতে কাপড়ের মাস্ক নয়, বরং এন নাইন্টি ফাইভ মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। কোনও জনবহুল জায়গায় যেতে গেলে বা অসুস্থ ব্যক্তির কাছাকাছি যেতে হলে এই মাস্ক পরা উচিত। তবে শুধু মাস্ক পরলেই হয় না। তার রয়েছে সঠিক নিয়ম। আর সেগুলি হল –
মাস্ক কেনার পর সেটি ঠিকমতো মুখে বসছে কিনা তা দেখা দরকার।
কাপড়ের মাস্ক হোক কিংবা সার্জিক্যাল, নাক ও মুখগহ্বর দু’টিই যেনে ঢাকা থাকে।
মাস্ক পরার পর সেটি যেনো মুখে খুব বেশি চেপে নাবসে আবার খুব ঢিলে না হয়। খুব বেশি চেপে থাকলে শ্বাসকষ্ট হওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে।
বাড়তির সুরক্ষার জন্য এন নাইন্টি ফাইভ মাস্ক পরা যেতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন,
*চুল পড়ে যাচ্ছে? মাথা ভরে গিয়েছে খুসকিতে? এই নিয়মগুলি মেনে মাখুন পেঁয়াজের রস