AC: গরমের দাবদাহ থেকে বাঁচতে এখন অতি প্রয়োজনীয় মেশিন হয়ে উঠেছে এয়ার কন্ডিশনার। একটা সময় শুধুমাত্র উচ্চবিত্তের বাড়িতেই এই মেশিনের দেখা পাওয়া যেত। তবে ধীরে ধীরে এখন মধ্যবিত্তদের বাড়িতেও এসির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে এসির সবথেকে বড়ো সমস্যা হলো সেখানে গ্যাস লিক করা। এমন অনেক ঘটনাই উঠে এসেছে যেখানে ব্যবহারকারীরা এই গ্যাস লিকেজের সমস্যায় ভুক্তভোগী। তবে এর পেছনে কিন্তু কয়েকটি কারণ রয়েছে। জেনে নিন কী কী-
সময়মতো সার্ভিসিং না করানো
যে কোনো যন্ত্র শুধু কিনলেই হয় না সময়মতো সেটির সার্ভিসিং করাতে হয়। যখন সার্ভিসিং করানো হয় তখন সেটা পরিষ্কার করার পাশাপাশি কোনো লিকেজ থাকলে তার মেরামত করে দেওয়া হয়।
AC-র সামনে এবং পিছন ব্লক করা
এসি মূলত সামনের দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে দেয় আর পেছনদিকে গরম বাতাস বের করে দেয়। এই অবস্থায় সামনে বা পেছনে কোনো জিনিসপত্র রাখলে হাওয়া ঠিক করে বের হতে পারে না ফলে এসি নষ্ট হয়ে যায়।
কার্বন জমে যাওয়া
এসিতে গ্যাস লিকেজের অন্যতম কারণ হলো কার্বন জমে যাওয়া। যদি কনডেন্সারের পাইপে মরচে ধরতে শুরু করে তাহলে শীতলতার পরিমাণ কমে গ্যাস লিকেজের সমস্যা বাড়বে।
এসি ইউনিটের যত্ন না নেওয়া
বাড়ির ব্যালকনিতে বা কার্নিশে এসির ইউনিট লাগানো থাকে। অনেক সময় দেখা যায় মাটি থেকে অনেকটাই কাছে এই ইউনিট লাগানো রয়েছে। এর পাইপে কুকুরে প্রস্রাব করলে কার্বন জমে।
এসি পরিষ্কার না করা
নির্দিষ্ট সময় অন্তর এসির এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করতে হয়। তা না করলে চাপ পড়ে গ্যাস লিকেজের মতোন সমস্যা দেখা দেয়।
ড্রেনেজ পরীক্ষা না করা
এসির ড্রেনেজ যদি ঠিকঠাক কাজ না করে তাহলে লিকেজের সম্ভাবনা থাকে। এসির ড্রেনেজ সিস্টেম বাইরে জল বের করে দেয়। সেটি যদি ঠিক না থাকে তাহলে ভেতরের পাইপে জল জমে।
এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সমস্যা সমাধান করবেন?
১. এসির আশেপাশে কোনো জিনিসপত্র রাখবেন না।
২. এসির কনডেন্সর পাইপে যাতে মরচে না ধরে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৩. নির্দিষ্ট সময় অন্তর-অন্তর এয়ারকন্ডিশনার সার্ভিসিং করান।
৪. ব্যবহার করার আগে এসি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
৫. ড্রেনেজ পরীক্ষা করুন এবং নিশ্চিত করুন এসির ইউনিটে যেন কুকুরে প্রস্রাব না করে।