গত ৮ই আগস্টের মধ্য রাতে কলকাতা আর জি কর মেডিকেল হাসপাতালে ঘটে যায় নৃশংস ঘটনা। এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ওই তরুণী চিকিৎসকের শরীরে পাওয়া গিয়েছে একাধিক ক্ষতচিহ্ন এবং একাধিক হাড় ভাঙা। আর এর প্রতিবাদে গর্জে ওঠে গোটা কলকাতা। যদিও প্রথমে কলকাতায় আন্দোলন সীমাবদ্ধ থাকলেও তা ছড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সকলের মুখে একটিই কথা, “বিচার চাই”।
এই দাবিতে অনড় থেকে এবার কলকাতা থেকে জেলায় জেলায় ‘রাত দখল’-এর ডাকে পা মেলালেন হাজার হাজার মহিলারা। সঙ্গে ছিলেন পুরুষেরাও। আর সেই সমবেত কন্ঠস্বর ও পদযাত্রা যেনো জানান দিলো সমবেত নারীশক্তির। ওই চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুতে যেমন গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। আর সেইসময় আর জি কর মেডিকেল হাসপাতালে ঘটে আরেক ঘৃণ্য ঘটনা। গতকাল মাঝরাতে হঠাৎই গোটা হাসপাতালে চত্বরে হামলা চালায় দুষ্কৃতকারী দল। আর এই ঘটনায় প্রতিবাদ করেছেন সকলে।
তবে অনেকেই সেই মিছিলে পা মেলাতে পারেননি। তবে বাড়ি থেকেই তুলেছেন তাদের স্বর। তেমনই একজন হলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। এদিন ফেসবুকের পাতায় আর জি কর কান্ড নিয়ে সরব হন ঋত্বিক চক্রবর্তী। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় লিখলেন, “ভয়-মুক্ত জণগণ দেখলে শাসকরা ভয় পায় কেন?” তার পোস্টে অনেকেই একাধিক মন্তব্য প্রকাশ করেছেন।
তবে শুধু ঋত্বিক নন, সোশ্যাল মিডিয়ায় পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন অঙ্কুশ হাজরা। একটি ছবি পোস্ট করে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আশা করব সমাজ এমন জায়গায় না চলে যায় যে একসময় মানুষ হয়ে জন্মানোর জন্য ঘৃণাবোধ করব। দ্রুত সুবিচারের আশা রাখলাম। মনে রাখবেন যে মানুষ নিজেকে প্রভাবশালী মনে করে তখন সামনের মানুষটি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই আমরা দুর্বল হবো না। মেয়েদের জন্য এক সুস্থ সমাজ তৈরি করি।”
‘রাত দখল’-এর রাতে একাধিক তারকা পথে নেমেছেন। আর জি কর কান্ডে গোটা বাংলার মানুষ সরব হলেও টলি পাড়ার কেউ সেভাবে সরব হননি। কেউ কেউ বলছেন, ‘রাজনৈতিক চাপ’-এর জন্য অনেক টলিউড সেলেব রাস্তায় নামেননি। তবে এবার টলিউডের একাংশকে দেখা গেলো রাস্তায়। মিছিলে পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটলেন তারা৷ তবে শুধু কলকাতার রাস্তা বা রাজ্যের রাস্তায় নয়, গোটা দেশের নানান জায়গায় চলে এই প্রতিবাদ।