দীপাবলির রাত পেরোতেই ধোঁয়ায় ঢাকল দিল্লি, দূষণের মাত্রা পার করল ৪৫০

সময়সীমা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের তরফে সবুজ বাজি পোড়ানোতে সম্মতি দেওয়া হয়। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ কি সেই নির্দেশকে মান্যতা দিল? দীপাবলির রাত যত বেড়েছে ততই এই প্রশ্নটিই উদ্বিগ্ন পরিবেশ সচেতন মানুষের মনে জাঁকিয়ে বসেছে। কারণ রাতভর অবিরাম আতশবাজির দৌলতে ক্রমে ভারী হয়ে উঠল দিল্লির বাতাস। এদিন সোমবার ও মঙ্গলবার দেখা গেলো দিল্লির বাতাস ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। সকালে বাতাসের গুণগত মান পৌঁছে গিয়েছে ৪৫১-তে।

যখন বাতাসের গুণগত মান ৩০০ পার করে সেই অবস্থাকে বলা হয় ‘খুব খারাপ’। এদিকে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান পৌঁছে গিয়েছে ৪৫১-তে, যা চিন্তায় ফেলেছে উদ্বিগ্ন পরিবেশ সচেতন মানুষকে। দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় গড় একিউআই ছিল ৪০০। এদিন মঙ্গলবার সকালে নয়ডা ও গুরুগ্রামের মতন শহরগুলির অবস্থা বেশ খারাপ হয়। চারিদিকে ধোঁয়ার জেরে দৃশ্যমানতা হ্রাস পেয়েছে অনেকটাই। নয়ডা ও গুরুগ্রামে মঙ্গলবার সকালে বাতাসের গুণগত মান ছিল ৪০৭ ও ৪০২।

শর্তসাপেক্ষে সময়সীমা নির্দেশ করে দীপাবলির রাতে সবুজ বাজি পোড়ানোতে সম্মতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট ১৮ থেকে ২০শে অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লি এনসিআর অঞ্চলে সকাল ৬টা থেকে ৭টা ও রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর নির্দেশ দেয়। বাস্তবে সেই নিয়ম কার্যকর হয়নি। শনি, রবি ও সোমবার দেদার বাজি পোড়ায় শহরবাসী। যার ফলে গোটা শহরের অবস্থা অনেকটাই খারাপ আকার ধারণ করে।

এদিকে দিল্লির আকাশে যখন দূষণের অশনিসংকেত দেখা দিচ্ছে সেইসময় ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয় প্রশাসন। তড়িঘড়ি দূষণ রুখতে জিআরপি-২ চালু করেছে প্রশাসন। এইসময় দূষণ বাড়তে থাকলে জল ছেটানো হয় রাস্তায়। জেনারেটরের ব্যবহার কমাতে বৃদ্ধি করা হয় বিদ্যুৎ-এর জোগান। যদিও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে এভাবে বাজি পোড়ানোর ফলে সত্যিই কি শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হল?

Picsart 25 10 21 10 44 58 008

#delhi #pollution

error: Content is protected !!