ভারতে চালু হবে সিটিজেন কার্ড, এটি সকলকেই করতে হবে

Indian Citizen Card

শীঘ্রই শুরু হবে ভারতবর্ষের পরবর্তী জনগণনার কাজ। আর তারই সঙ্গে চলবে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (NPR) আপডেট প্রক্রিয়া। এবার এই প্রক্রিয়ার সাথে একটি নতুন পরিকল্পনা উঁকি দিচ্ছে- সিটিজেন কার্ড (Citizen Card) । ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরমহলে সিটিজেন কার্ড (Citizen Card)- নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি ইউনিক সিটিজেন কার্ড (Indian Citizen Card) ইস্যু করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।

সিটিজেন কার্ডে (Indian Citizen Card) থাকবে একটি বিশেষ ইউনিক নম্বর, যা প্রত্যেক নাগরিকদের পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে। যদি সিটিজেন কার্ডের (Indian Citizen Card) পরিকল্পনা কার্যকর হয়, তাহলে ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড ও আধার কার্ডের পর এই কার্ডটি হয়ে উঠবে চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ কার্ড।

এই কার্ড তৈরির জন্য দেশের জনগণকে ফের নতুন করে তথ্য জমা দিতে হতে পারে এবং দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতে পারে। এই প্রস্তাব যে নতুন তা কিন্তু নয়, এই ধারণা নিয়ে প্রথমবার আলোচনা শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে অসমে এনআরসি (NRC) চালুর সময়

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এটি মনে করে, দেশের বৈধ ও অবৈধ নাগরিকদের মধ্যে পরিষ্কার ভাবে পার্থক্য তৈরির জন্য একটি ইউনিক নাগরিকত্ব কার্ড অপরিহার্য।

যদিও এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, তবুও আসন্ন বাজেটে অর্থবরাদ্দের মাধ্যমে এই প্রস্তাবের প্রথম ধাপ বাস্তবায়িত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেন্সাস ও এনপিআরের গুরুত্ব

সাধারণত প্রতি দশ (১০) বছর অন্তর সেন্সাস এবং এনপিআর আপডেটের কাজ হয়। সর্বশেষ ২০১০ সালে আপডেট করা হয়েছিল এনপিআর।

২০২১ সালে এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। আগামীতে মার্চ-এপ্রিল মাসে এই কাজ পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইতিমধ্যেই প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে সেন্সাস এবং এনপিআর আপডেট বাবদ। ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সেন্সাসের জন্য ৮৭৫৪ কোটি আর এনপিআরের জন্য ৩৯৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে সিটিজেন কার্ডের পরিকল্পনা যুক্ত হলে এই ব্যয় আরও বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক।

নাগরিকত্ব কার্ডের প্রয়োজনীয়তা কি?

সরকারি সূত্র অনুযায়ী, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, অথবা আধার কার্ডকে পুরোপুরি নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসেবে গণ্য করা যায় না। সেকারণে আলাদা ভাবে একটি নাগরিকত্ব কার্ডের প্রয়োজনীয়তা রয়ে গিয়েছে।

মূলত জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতেই এই কার্ড তৈরির পরিকল্পনা চলছে। এই সিটিজেন কার্ড চালু হলে, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নানা জটিলতা সহজে মেটানো যাবে, পাশাপাশি এটি অবৈধ নাগরিকদের চিহ্নিত করতেও অনেকাংশ সহায়ক হবে।

আরও পড়ুন,
*ভারতে চালু হল PAN 2.0 প্রকল্প, জানুন PAN 2.0 ও PAN কার্ডের মধ্যে পার্থক্য কী?