এবার থেকে জীবনবিমায় টাকা জমানোর পর বন্ধ করার সময় কত টাকা পাওয়া যাবে তার হিসেব করার এক নতুন নিয়ম চালু হলো। এই নতুন নিয়মে যদি গ্রাহকেরা পলিসি জমা বন্ধ করেন তবে আগের তুলনায় বেশি টাকা দিতে হবে। তবে এমন ঘটনা ঘটলে এরপর থেকে বিমার প্রিমিয়াম বাড়াতে বা এজেন্টের কমিশন কমাতে পারে সংস্থাগুলি, এমনটাই মত সংশ্লিষ্ট মহলের। অনেকে মনে করছেন প্রথমটির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
যদি বিমার প্রিমিয়াম বাড়ে তবে সাধারণ মানুষের জন্য তা আরও সমস্যার হতে চলেছে। কারণ বিমার পরিমাণ বাড়লে সাধারণ মানুষ পলিসি চালাতে পারবেন কিনা তা নিয়েও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যে অনেকে পলিসি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এবার নতুন নিয়ম লাগু হলে অনেক বিমাকারী সেই পথে হাঁটতে পারেন। সাধারণ ক্ষেত্রে এক অন্য ব্যবস্থা রয়েছে।
সাধারণত জীবন বিমায় প্রিমিয়ামের একাংশ দিয়ে গ্রাহকের জীবনের ঝুঁকির দিকটি সুরক্ষিত করা হয়। এরপর বাকি অংশ বাজারে লগ্নি করে সংস্থার তরফে লাভ করা হয়৷ সেই লাভের অংশ থেকে একটি অংশ গ্রাহককে তার সারেন্ডারের সময় ফেরত দেওয়া হয়। সারেন্ডারের সময় মেয়াদ শেষের সময় পলিসি বন্ধ করে গ্রাহক টাকা তুলতে পারেন।
এবার থেকে গ্রাহক কত টাকা পাবেন সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে।তবে এই নতুন নিয়মে গ্রাহকদের সারেন্ডারের সময় বেশি টাকা গুনতে হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ইতিমধ্যে কমিশন কমলে হুমকি দেওয়া হয়েছে এজেন্টদের তরফে। এই বিষয়ে এলআইসির বিপণন বিভাগের প্রাক্তন আঞ্চলিক কর্তা অরূপ দাশগুপ্তর কথায়, “আগে কমপক্ষে দু’বছর পলিসি চালানোর পরেই তা সারেন্ডার করা যেত। এখন এক বা দু’বছর পরে করা যাবে। এক বছর পরে করলে জমা প্রিমিয়ামের প্রায় ৬৩% ফেরত মিলবে। দু’বছরে পাওয়া যাবে প্রায় ৭২%।”
তিনি আরও বলেন, “ক্ষতি মেটাতে সংস্থাগুলি প্রিমিয়াম বাড়াতে পারে। কেউ আবার বাড়াতে পারে বিমার ন্যূনতম অঙ্কও। তবে এজেন্টদের কমিশন কমানোর সম্ভাবনা কম।” এই বিষয়ে প্রাইসওয়াটারহাউস কুপার্সের পার্টনার ও লিডার অমিত রায়ের কথায়, “সব জীবন বিমার প্রিমিয়াম বাড়বে বলে মনে হয় না। এনডাওমেন্ট ও ইউলিপেরবাড়তে পারে। তবে শুধু জীবনের ঝুঁকি সুরক্ষতি করতে যে টার্ম পলিসি আছে, সেগুলির বাড়বে না। এজেন্টদের কমিশনের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে সংস্থার উপরেই নির্ভর করছে।”