দীর্ঘ ১৮ বছর পর আইপিএল-এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আরসিবি। আর সেই কারণে বেঙ্গালুরুতে আনন্দের ঢেউয়ে ছেয়ে গিয়েছে। আরসিবি জয়ের সেলিব্রেশন চলাকালীন বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। প্রচন্ড ভীড়ে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ১১ জন। বাইরে যখন কেউ মৃত, কেউ মৃত্যুর মুখে পতিত সেইসময় স্টেডিয়ামের ভিতরে সেলিব্রেশন সমানে চলতে থাকে। ১১ জন্য মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
এবার বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করল কর্ণাটক হাইকোর্ট। এদিন দুপুর আড়াইটের সময় সেই শুনানি রয়েছে। পিটিআই সূত্রে খবর, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের ও আহত হয়েছেন ৩৩ জন। প্রশাসনের তরফে আন্দাজ করা সম্ভব হয়নি এত পরিমাণ ভীড় হতে পারে। এদিকে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী।
বাইরে যখন সমর্থকদের একের পর এক মৃত্যুমিছিল চলছে, সেইসময় স্টেডিয়ামের ভিতরে জয়োল্লাস ও সেলিব্রেশনের আনন্দ। চরম বিশৃঙ্খলার বলি হল ১১টি প্রাণ। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বুধবার বেঙ্গালুরু ফেরে আরসিবি টিম। এদিকে সেই টিমকে দেখতে সকাল থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। ভীড় ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আরসিবি-এর সেলিব্রেশনের জন্য কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ৩০ হাজার পাস ইস্যু করা হয়্। কিন্তু সেখানে ভীড় জমায় প্রায় ২ লক্ষ সমর্থক। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। আর তারপরই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পুলিশ।
সেইসময় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর এরফলে পদপিষ্ট হন অনেকেই। আর সেই পদপিষ্টের ঘটনায় আহত হন যেমন অনেকে তেমনি ১১ জন নিহত হন। এই ঘটনার পর আহতদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছোন কর্নাটকের মুখ্য়মন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার।