ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাদোজার মতন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তখন ধরাশায়ী হয়েছে। এরপর মাঠে নামেন নীতিশ কুমার রেড্ডি। সঙ্গী হিসেবে তখন মাঠে ব্যাট করতে থাকেন ওয়াশিংটন সুন্দর। নীতিশ কুমার রেড্ডিকে প্রথম ১১তে রাখা নিয়ে নানান মতভেদ উঠলেও সুযোগ পেয়ে মাঠে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। তখন ৯৬ রানে ব্যাট করছেন নীতিশ। সাধারণ মানুষের মাঝে গ্যালারিতে বসে রয়েছেন তার বাবা মুত্যালা রেড্ডি।
কিন্তু তার চোখ মাঠের দিকে নয়, বরং তিনি মনেপ্রাণে ডাকছেন ঈশ্বরকে। তারই মাঝে লাথান লিয়নের বলে ৫০ করার পর আউট হলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এরপর মাঠে নামলেন জশপ্রীত বুমরাহ। সেইসময় শতরানের থেকে ১ রান পিছিয়ে নীতিশ। কিন্তু বাবার প্রার্থনা ব্যর্থ হয়নি। অবশেষে হাজির হল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
একরাশ চাপ সামলে অবশেষে বিদেশের মাটিতে দেশের জন্য প্রথম শতরান করলেন নীতিশ। মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৪ রানের বোঝায় যখন তৃতীয় দিনের শুরুতে ধুকতে শুরু করেছিল ভারত। আর সেই চাপ থেকে দেশকে অক্সিজেন দিলেন নীতিশ। বর্ডার গাভাসকার সিরিজে নিজেকে প্রমাণ করতে কোনো খামতি রাখেননি তিনি।
১৮১ বলে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে দলকে কিছুটা হলেও এগিয়ে আনলেন নীতিশ। এদিন ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন নীতিশ। প্রথম অর্ধশত রান করে ‘পুষ্পা’ স্টাইলে তা সেলিব্রেট করতে দেখা গেলো নীতিশকে। কঠিন পরিস্থিতিতে ‘ঝুকেগা নহি’ মানসিকতা বজায় রাখা বোধ হয় একেই বলে।
Nitish Kumar Reddy hits his maiden Test century and receives a standing ovation from the MCG crowd ❤️ #AUSvIND | #PlayOfTheDay | @nrmainsurance pic.twitter.com/Vbqq5C26gz
— cricket.com.au (@cricketcomau) December 28, 2024
এরপর শতরান করার পর ব্যাট মাটিতে সোজা করে রেখে তার উপর রাখলেন হেলমেট। তারপর উপর দিতে হাত তুলে প্রণাম করলেন। তখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে গ্যালারিতে বসে থাকা তার বাবার চোখে জল। বিদেশের মাটিতে টেস্টে ছেলের প্রথম সেঞ্চুরি করার সাক্ষী থাকতে পেরে আপ্লুত তিনি।