লাল বেনারসিতে অন্যতম বিতর্কিত বাঙালি, চিনলেন?
লেখায় যেনো আগুন ঝড়ে তার। কোনোরকম রাখঢাক না রেখেই মুক্ত কন্ঠে তিনি কথা বলেন। গোপনীয়তা যেনো তার ডিকশিনারির অঙ্গ নয়। বিতর্ক যেনো তাকে ঘিরে থাকে সবসময়। ওপার বাংলার জনপ্রিয় মুসলিম লেখিকা আজ তাই দেশ ছাড়া। তিনি হলেন তসলিমা নাসরিন। সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করেছেন।
আর সেই ছবিতে তাকে দেখা গিয়েছে, লাল টিপ, কপালে চন্দন, লাল বেনারসি ও খোঁপা করে বাঁধা চুল। নতুন কনের সাজে তসলিমার এই ছবি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ার সকলেই হতবাক। এই ছবিটি তোলা হয়েছে ১৯৮৫ কিংবা ১৯৮৬ সালে তোলা দুই বাংলার চর্চিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের।
লেখিকার পাশাপাশি তিনি একজন চিকিৎসক। লেখার পাশাপাশি মানব সেবাতেও নিজের জীবনের মূল্যবান সময় অতিবাহিত করেছেন তিনি। তবে স্পষ্ট ভাষায় লেখার কারণে আজ তিনি দেশ ছাড়া। বর্তমানে থাকে নয়া দিল্লিতে। তসলিমা বরাবরই স্বাধীনচেতা মানুষ। আর তা তিনি গোটা জীবনে মেনে চলেছেন।
লাল বেনারসিতে তসলিমা নাসরিন
সম্প্রতি তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে পোস্ট হওয়া সাজগোজ করে দাঁড়িয়ে থাকা তসলিমার ছবিটি যদিও বিয়ের ছবি নয়। তা তিনি নিজেই স্পষ্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, “না সেদিন আমার বিয়ে হয়নি। ঘটা করে বিয়ে আমি করিনি কোনোদিন। তবে ইচ্ছে হয়েছিল লাল বেনারসি পরে সাজতে, সেজেছিলাম।”
এই ছবির কমেন্ট বক্সে একাধিক মানুষ নানান মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, “কেমন যেন অন্য রকম, চেনা তসলিমা নয় তো!” তসলিমা তার জীবনে প্রবেশ বিয়ে করেন রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহকে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়ার সময়ই বিয়ে করেন তিনি। তখন ১৯৮১ কিংবা ১৯৮২ সাল। এরপর ১৯৮৬ সালে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়৷
এরপর নাঈমুল ইসলাম খানের সঙ্গে বিয়ে হলেও সেই বিয়েও ভেঙে যায়। এরপর তৃতীয়বাী তসলিমা বিয়ে করেন মিনার মাহমুদকে। কিন্তু তৃতীয় বিয়েও বেশিদিন টেকেনি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর নিজের মতন করে একলা বাঁচা যেখানে রূপকথার গল্প, সেটিই যেনো বরাবর সত্যি করে দেখিয়ে দিয়েছেন তসলিমা নাসরিন।