মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সংরক্ষণ নিয়ে শুরু হয়েছিল ছাত্র আন্দোলন। তবে সেখান থেকে আজ পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে ভেঙে পড়েছে সরকার। ইস্তফা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের বিভিন্ন ভয়ঙ্কর দৃশ্য উঠে এসেছে আমাদের সামনে।
দেশের এমন চরম বিপর্যয় নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুললেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। জানালেন কী কারণে এতোদিন বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলেন তিনি। বলেন, ‘আমার মায়ের চরম অসুস্থতাজনিত কারনে সাম্প্রতিক সময়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নই। দেশে শান্তি বিরাজ করুক, সকলের মঙ্গল হোক।’
তবে তিনি মুখ না খুললেও তার নাম নিয়ে একাধিক দেশ-বিদেশের পত্রিকা এবং সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য করা হয়েছে। সে বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। জানান, ‘আমার নাম ব্যবহার করে কোনো বিদেশী, দেশী পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে যদি কিছু লেখা হয়,তার দায় আমার নয়।’
আসলে অভিনেতার মতে তিনি এখনো কোনো পত্রপত্রিকা এবং সামাজিক মাধ্যমে কোনো বক্তব্য করেননি। তিনি একজন সাধারণ শিল্পী। তাই কোনো বিষয় নিয়ে কোনোরকম মন্তব্য করতে নারাজ তিনি। তবে এর আগে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে তিনি নিজের মতামত প্রকাশ করেছিলেন। শোকাহত হয়েছিলেন অকালে এতো ছাত্রের প্রাণ ঝরে যাওয়ায়।
প্রশ্ন করেন, ‘সমাধানের অন্য কোনও পথ কি খোলা ছিলো না? গুলি কেন করতে হলো? বুকের রক্ত না ঝড়িয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেতো না? যা ঘটে গেল এটা যেমন মোটেও কাঙ্খিত নয়। বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক এবং সভ্যতা বর্হিভূত! তরুণ তাজা যে প্রাণগুলো অকালে ঝড়ে গেল,তার দায় কে নেবে? যে মায়ের বুক খালি হলো তার আর্তনাদ কি কোনো জন্মে শেষ হবে?’
আরও পড়ুন,
*‘… কোনও গুরুত্ব নেই!’ ৫৯-এ দাদার দ্বিতীয় বৌভাত, সৌরভ গাঙ্গুলির প্রাক্তন বৌদির পোস্টে বেদনা