আজ থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে আমাদের পচিমবঙ্গের কলকাতায় মেডিকেল কলেজ আরজি করে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আমরা সমগ্র পশ্চিমবঙ্গবাসী খুবই হতাশাগ্রস্থ। একজন মহিলা ডক্টর কে গ্যাং রেপ করে মারা হয়েছে। তিনি নাইট ডিউটিতে ছিলেন। শোনা যাচ্ছে যে এটি একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত।
মেয়েটিকে চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে। আরো জানা যায় যে এই মেয়েটি ওই হাসপাতালের এমন কিছু গোপন তথ্য জেনে গিয়েছিল তার জন্য তাকে সরিয়ে দেওয়া সেই হাসপাতালের রাজনৈতিক কাদের সাথে যুক্ত নেতাদের ঠিক মনে হয়েছে। মেয়েটিকে খুব নির্মম ভাবে রেপ করে খুন করা হয়েছে। তারপর থেকেই ওই হাসপাতালের মেডিকেল কর্মী বিভিন্ন ডক্টর নার্স সবাই আন্দোলনে নেমেছে ওই মেয়েটির হত্যার সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য।
শুধু এই আন্দোলন কি হাসপাতালে সীমাবদ্ধ থাকেনি এটা গোটা পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারতবর্ষ এবং বাইরের দেশেও এই ঘটনাটির প্রভাব পড়েছে। এই ঘটনাটি ঘটে ৮ই আগস্ট আজ প্রায় ১৭ দিন হতে যায় কোন বিচার এখনো পাওয়া যায়নি। কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় এই ঘটনাটি নিয়ে আন্দোলন করা হচ্ছে এবং তারা আশা করছে যেন তারা সুবিচার পায়। কিছুদিন আগে এই আরজিকর হাসপাতালে কতজন দুষ্কৃতি হামলা করে এবং সিসিটিভি ভিডিও চেক করে বোঝা যায় যে সেই দুষ্কৃতীরা ওই মেয়েটির রেপের বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ লোপাট করার জন্যই এসেছিল।
পুলিশরা তাদের আটকাতে পারেনি তারা ব্যর্থ হয়েছে। এই নিয়েও পশ্চিমবঙ্গবাসী পুলিশের উপর সমস্ত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। জানা যায় যে পুলিশরা বড় নেতাদের সঙ্গে কোন না কোন ভাবে যুক্ত রয়েছে এর জন্য কলকাতা বাসি অর্থাৎ মেডিকেল কলেজের কিছু ছাত্র-ছাত্রী এবং ডক্টর প্রকাশ করেছে যেন পুলিশ কমিশনার পদত্যাগ করে। কোথাও কোথাও এই দাবিতে আন্দোলন করতে দেখা গেছে যে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ বা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। এই এই ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা চলছে এবং এর থেকে কিছু তথ্য এসেছে যেমন এর সাথে সঞ্জয় নামে একজন ব্যক্তি জড়িত ছিল এবং সন্দীপ ঘোষ কোনো ব্যক্তি উঠে এসেছে। কোন বিচার পাওয়া যায়নি। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গবাসী এই আশায় রয়েছে মেয়েটির মৃত্যুর সঠিক বিচার যেন পায়।
কলকাতা মেডিকেল কলেজ সমস্ত স্টুডেন্টস ডক্টর স্পেশালি মহিলা ডক্টর খুবই ভয় পেয়ে আছেন। তারা দাবি করছেন দুষ্কৃতীদের এই পুলিশরা সামলাতে পারল না তারা আমাদের কি করে নিরাপত্তা দেবে? আমাদের সমাজ কোথায় গেছে? আমরা কল্পনা করতে পারি না যে একজন মহিলা ওয়ার্কার সে তার কাজের জায়গায় নিরাপদ নয়! তারা মনে করছেন পুলিশরাও হয়তো এই চক্রান্তের সঙ্গে কোনো না কোনো ভাবে যুক্ত তা নাহলে পুলিশরা চাইলে হয়তো অনেক কিছুই করতে পারত। সঠিক তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের উপরেই ভরসা করছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। সকলের একটাই দাবি তিলোত্তমার বিচার চাই।
আরও পড়ুন,
*ধর্ষণের একটাই শাস্তি ‘ক্যাপিট্যাল পানিশমেন্ট’, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘রাজনৈতিক’ অনুরোধ দেবের