চোখের চুলকানি, চোখ থেকে ঘন ঘন জল পড়া কিসের লক্ষণ! আপনিও “ড্রাই আইজ” এর সমস্যায় আক্রান্ত নন তো?

kmc 20240916 142722 OqIFGNui8Q

অনেকেরই দেখবেন বিনা কারণেই চোখ থেকে যখন তখন জল পড়তে থাকে এটি কিন্তু “ড্রাই আইজ” এর লক্ষণ।শুধুমাত্র তাই নয় দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেলে সেটাও কিন্তু “ড্রাই আইজ”এর কারণে হয়। অনেকেই আছেন যাদের একটানা ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করলে দেখবেন চোখ চুলকায় এবং চোখ বেয়ে‌ জল পড়ে। এই ধরনের সমস্যার একটি অন্যতম কারণ হলো অনবরত এসি ঘরে দীর্ঘক্ষণ একটা টানা থাকা। এসি ঘরে আদ্রতার পরিমাণ কমে যায় ফলে এসি ঘরে থাকলে ‘ইভাপোরেটিভ ড্রাই আইজ়’এর সমস্যা হয়। সাধারণত চোখের পাতা থেকে নানান ধরনের জলীয় পদার্থ ও স্নেহ পদার্থ ক্ষরিত হয়, কিন্তু দীর্ঘক্ষণ এসে ঘরে থাকলে সেই জলীয় পদার্থ গুলো ক্ষরিত হতে পারে না, ফলে অশ্রুগ্ৰন্থি শুকিয়ে যায় এবং চোখে চুলকানির সমস্যা আসে। শুধু মাত্র এসি ঘরেই নয় যারা কিনা দীর্ঘক্ষণ ফোন অথবা কম্পিউটার ল্যাপটপে একটানা তাকিয়ে থাকে তারাও এই “ড্রাই আইজে” এর সমস্যায় ভোগেন।

‘ড্রাই আইজ়’-এর প্রধান উপসর্গগুলো কী কী ?
অকারণে চোখ থেকে জল পড়া “ড্রাই আইজে” এর লক্ষণ। কখনো কখনো দেখবেন চোখের সামনে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় এটিও কিন্তু “ড্রাই আইজে” এর উপসর্গ। মাঝেমধ্যেই চোখ ব্যথা করে,এটাও “ড্রাই আইজে” এর কারণে হয়ে থাকে।

‘ড্রাই আইজ়’-এর সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে এই নিয়মাবলী অনুসরণ করুন:-

১. অনেকে চোখে স্টাইলের জন্য লেন্স পড়ে থাকেন, আবার অনেকেই লেন্স পড়াটা বাধ্যতামূলক বলে মনে করেন।কিন্তু এই লেন্স পড়ে থাকলে চোখের অনেক ক্ষতি হয়ে যায় যেমন ড্রাই আইজ এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

২. চোখের সঙ্গে সব সময় সাবধানতা টাকাল করতে হয়।যেমন ধরুন কোনভাবেই চোখের মধ্যে ধুলোবালি যেন না ঢোকে সেই দিকে নজর রাখতে হবে। চোখ জল দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার চোখে জলের ঝাপটা দিতে হবে।জলের ঝাপটা দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা ভালো কিন্তু অত্যাধিক কিছুই ভালো না। অত্যাধিক জল ঝাপটা দেওয়ার কারণে চোখের আরো বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩. ফোনের ছোট পর্দার দিকে অথবা ডেক্সটপ এর পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে এই জন্য যতটা পারবেন ততটা এড়িয়ে চলবেন কম্পিউটার -মোবাইল।

৪. মানুষের শরীরে যেমন ক্লান্তি আছে ঠিক একই ভাবে চোখেরও ক্লান্তি আছে চোখ যখন অপসাদ গ্রস্ত হয়ে যায় তখন তাকে ভাব দিয়ে কমানো সম্ভব।

৫. জলে জীবন এই কথাটার আক্ষরিক অর্থ আমাদের শরীরের সব অঙ্গ-প্রতঙ্গের জন্য জলের প্রয়োজন পড়ে, এই যেমন ধরুন জল খাওয়াটা যে কত প্রয়োজনের সেটা আজ আপনাদের বলছি,জল খেলে শরীরকে ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে রক্ষা পায়,ঠিক তেমনি চোখের আদ্রতা ভাব‌ও কমায়। এই কারণে জলের ঘাটতি মেটায় এমন ধরনের ফল খাওয়া আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন।

আরও পড়ুন,
*Aarav Kumar: ১৫ বছর বয়সেই ছাড়েন আরভ, ছেলের জন্মদিনে আদুরে শুভেচ্ছা অক্ষয়-টুইংকেলের