গতবছর ২০২৩ সালের জুলাই মাসের ১৪ তারিখ তিনটে ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান-৩ ছাড়ে ভারত। এরপর ২৩শে আগস্ট ২০২৩ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পালকের মত অবতরণ হয় চন্দ্রযান- ৩ এর। চাঁদের একটি অর্ধবৃত্তাকার ক্রেটারে নেমেছিল চন্দ্রযান- ৩। ফলে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম অবতরণকারীর স্বীকৃতি পান ভারত।
ইসরোর গবেষক ও আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি বলেন,চন্দ্রযান-৩ যে ‘গর্ত’টিতে অবতরণ করেছিল তা নেক্টেরিয়ান সময়কালে তৈরি হয়েছিল। আজ থেকে প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগে সেই সময়ের অস্তিত্ব ছিল।
অধ্যাপক এস বিজয়ন অর্থাৎ ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি প্ল্যানেটারি সায়েন্স ডিভিশনের সহকারী বলেছিলেন ‘চন্দ্রযান-৩ যেখানে নেমেছে’ এখানকার অনেক ভূমি তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আছে। তিনি এও বলেন এর আগে কখনো ওখানে কোনো অভিযান হয়নি অর্থাৎ ভারতই প্রথম এই অভিযান করে সুখ্যাতি অর্জন করে। রোভার যেই ছবিগুলো তুলেছিল, সেগুলো দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে “চন্দ্রযান-৩” যেখানে ল্যান্ড করেছিলো এই গর্তটি কতটা গভীর ছিল।
“চন্দ্রযান-৩”-এর রোভার প্রজ্ঞান এক সপ্তাহ ধরে চাঁদের মাটিতে ঘুরে নানান তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং সেগুলো পৃথিবীতে প্রদান করেছে। এরপর চাঁদে সূর্য ডুবে যায় ফলে ল্যান্ডার ও রোভার সেখানেই রয়ে যায়।
চাঁদকে নিয়ে আমরা ছেলেবেলা থেকেই বহু গান শুনেছি। এখন সেখানে নিদ্রায় মগ্ন হয়ে আছেন “চন্দ্রযান-৩”। “চন্দ্রযান ৩” এর বহু ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল যা মানুষকে বিস্মিত করে তুলেছে। এই ছবিগুলো দেখে বিজ্ঞান বিভাগ না জানা অনেক কিছু অনুমান করতে পেরেছেন।