অষ্টধাতু দিয়ে মা দুর্গার প্রতিমা তৈরি করে তাক লাগলো হাবড়ার শিল্পী

kmc 20241006 214712 X3ZkWM6Y7B

দুর্গা মূর্তিতে প্রত্যেক বছর কিছু না কিছু নতুনত্ব থাকে। তবে এই নতুনত্বের দিক থেকে শুধু যে কলকাতা নয়, এগিয়ে আছে কলকাতার পাশের এলাকার বিভিন্ন দুর্গার সংঘগুলি। এই বৎসর অষ্টধাতুর দিয়েই মায়ের মূর্তি তৈরি হতে চলেছে ব্যারাকপুর এবারগ্রিন সঙ্ঘে, হাবড়ার ইন্দ্রজিৎ শিল্পী।

হাবরার ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার একজন বিখ্যাত শিল্পী। তিনি কখনো মুক্ত ,কখনো হিরে, আবার কখনো সোনার মূর্তি তৈরি করেছেন। ইন্দ্রজিৎবাবু এই বছর অষ্টধাতু দিয়ে মূর্তি তৈরি করেছেন। তবে শুধুমাত্র অষ্টধাতু নয়, বাড়ির এবং বিভিন্ন যানবাহনের পরিত্যক্ত জিনিস দিয়েই নির্মাণ হয়েছে মূর্তি।

শিল্পী ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেছেন, ‘মূর্তি তৈরি করতে সবথেকে বেশি লোহা ব্যবহার করা হয়েছে। কমবেশি সব ধাতু মিলিয়ে মূর্তির মোট ওজন ১৫০ কুইন্টাল। মায়ের মুখ ও হাত নির্মাণ করা হয়েছে সাইকেল এবং বাইকের পরিত্যক্ত পার্টস দিয়ে। লক্ষ্মী প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে পিতল দিয়ে। সরস্বতীর প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে দস্তা দিয়ে। কার্তিকের মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে ব্রোঞ্জ দিয়ে। গণেশের মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে রুপো দিয়ে।’

তিনি আরো বলেছেন,’ সোনা রুপা ব্যবহার করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু পরিমাণে কম ব্যবহার করা হয়েছে। দেবদেবীর গয়না রুপো ও তামা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। পরিবেশ সচেতনতা নিয়েই তিনি কিছু কথা বলেছেন। প্যান্ডেলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, আমাদের যেমন অনেক গাছ লাগাতে হবে তেমন অপচয় কম করতে হবে জল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বন্যা বা ভূমিকম্প যে কারণের জন্য তৈরি হয়, সেটা কিন্তু আমাদেরই ভুলের ফল হয়। তাই আমাদের নিজেদেরই অনেক সচেতন থাকতে হবে, এই চিন্তাভাবনাকে মাথায় রেখেই প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে।

আলোচনায়, ১৫০ কুইন্টালের এই মূর্তি বিসর্জনের দিন ক্রেন আনা হবে। কোন মানুষের পক্ষে এত ওজনের মূর্তি নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই বাধ্য হয়ে মেশিনের সাহায্যে মূর্তিকে বিসর্জনের সময় নিয়ে যাওয়া হবে।