এবার ইডি-র জেরার মুখোমুখি তামান্না ভাটিয়া

এবার আর্থিক তছরুপের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকে। জানা যাচ্ছে, অভিনেত্রীকে ‘এইচপিজেড টোকেন’ নামক এক মোবাইল আর্থিক তছরুপের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, বিটকয়েন এবং অন্যান্য কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি খনির অজুহাতে বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারীকে প্রতারিত করা হয়েছে। এই মর্মে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, গুয়াহাটির ইডির জোনাল অফিসে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিংয়ের অ্যাক্টের আওতায় তামান্না ভাটিয়ার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, এইচপিজেড টোকেন নামক অ্যাপের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তামান্না। সেইজন্য তিনি বেশ কিছু টাকা পান। সেই টাকা তছরুপের টাকা হওয়ায় অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, তার বিরুদ্ধে কোনরকম অভিযোগ আনা হয়নি।

এর আগে অভিনেত্রী সমন এড়িয়ে গিয়েছিলেন কাজের জন্য। তবে গত বৃহস্পতিবার তাকে ইডির জেরার মুখোমুখি পড়তে হয়। এই ঘটনায় ইডি একটি চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, ৭৬টি চিনা নিয়ন্ত্রিত সংস্থা সহ মোট ২৯৯টি সংস্থার নাম রয়েছে। এদের মধ্যে ৭৬জন চিনা বংশোদ্ভূত ও দু’টি অন্য বিদেশি নাগরিক দ্বারা পরিচালনা করা হয়। এই মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশনটি বিনিয়োগকারীরা ব্যবহার করেছিল মানুষকে প্রতারণা করার জন্য।

এর পাশাপাশি এটি যে প্রতারণার একটি ফাঁদ তা ঢাকার জন্য ‘ডামি’ পরিচালকদের দ্বারা পরিচালিত ‘শেল কোম্পানি’ দ্বারা অ্যাপের সাথে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও মার্চেন্ট আইডি খোলা হয়েছিল। এই অ্যাপের সাহায্যে করা অনলাইন গেমিং, বেটিং, বিনিয়োগ ও বিটকয়েনের আদানপ্রদানের মধ্যে দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ভয়ানক তথ্য উঠে আসছে।

ইডির তরফে জানানো হয়েছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে ৫৭,০০০ টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিদিন ৪০০০ টাকা ফেরত পাওয়ার কথা বলা হলেও তা কেবল একবার দেওয়া হয়েছিল। টাকা একবার ফেরত দেওয়ার পর বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে নতুন করে অর্থ চাওয়া হয়। এই মামলা দায়ের হওয়ার পর গোটা দেশ জুড়ে ইডি তল্লাশি চালায় ও ৪৫৫ কোটি টাকার স্থাবর ও আমানত বাজেয়াপ্ত করা হয়৷