দিঘায় রথ যাত্রা প্রস্তুতিপর্ব দেখভাল করতে হাজির মুখ্যমন্ত্রী, রথের দড়ি স্পর্শ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ

একেবারেই দোরগোড়ায় এসে পড়েছে রথযাত্রার দিন। আর তাই এবার প্রথম দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে হতে চলেছে রথ যাত্রা। আর এই রথ যাত্রায় যাতে কোনোরকম সমস্যার সৃষ্টি না হয় তা খতিয়ে দেখতে এবং এই বিষয়ে পরামর্শের জন্য দিঘায় হাজির হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে দিঘার রথ যাত্রায় রথের দড়ি সাধারণ মানুষ ছুঁতে পারবেন। এদিন দিঘার মন্দিরে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রথ যাত্রার দিন তিনটি রথ কীভাবে এগোবে, ভিড় কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও ইসকনের রাধারমণ দাস। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে সাদা কাগজে কিছু এঁকে বাকিদের কিছু বোঝাতে দেখা গিয়েছে। এদিন মমতা জানান, রথ যাত্রার দিন সকাল থেকেই খোলা থাকবে মন্দির।

তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। এর পাশাপাশি ওই দিন সকাল ৯টা থেকেই শুরু হয়ে যাবে রথ যাত্রা সমস্ত আচার অনুষ্ঠান। দিঘায় প্রথম রথ যাত্রা অনুষ্ঠানে অনুমান করা হচ্ছে মানুষের ঢল নামবে অনেকটাই। তাই সেই অনুযায়ী সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা এড়াতে রাস্তার দুই দিকে ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে।

মমতা জানান, ব্যারিকেডের ওপার থেকে মানুষ রথ যাত্রা দেখতে পারবেন। রথে দড়ি লাগানো থাকবে। তাই রাস্তার দুই দিকের মানুষ রথ ছুঁতেও পারবেন। এর পাশাপাশি অত্যাধিক ভিড়ে যাতে কোনোরকম দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য ব্যারিকেড টপকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। রথ যাত্রার দিন দুপুর ২টোর সময় আরতি ও পুজো আরম্ভ হবে।

এর পাশাপাশি ওইদিন দুপুর ২টো ৩০ নাগাদ মন্দির থেকে রথ যাত্রা শুরু হবে। দীর্ঘ পৌনে এক কিলোমিটার যাত্রা করবে তিনটি রথ। অবশেষে মাসির বাড়ি পৌঁছবেন জগন্নাথ সহ তিন ভাইবোন। এদিন বিকেল ৪টের মধ্যে পুজো সহ সমস্ত আয়োজন শেষ হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ অর্থাৎ রথ যাত্রা নিয়ে প্রথমবারের জন্য দিঘা যে প্রস্তুতিপর্ব প্রায় সেরে ফেলেছে তা মুখ্যমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট।

error: Content is protected !!