দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজেই হোক বা ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাইকের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া এই দুই চাকার যানের দাম মধ্যবিত্তদের হাতে নাগালের মধ্যে থাকায় এর বিক্রিও অনেক বেশি। তবে আপনি কি জানেন দীর্ঘক্ষন বাইক চালালে আপনার শরীরে বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে? তবে চিন্তা নেই এই সমস্যার সমাধানও রয়েছে। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে জানবো দীর্ঘক্ষণ বাইক চালালে কী অসুবিধা হতে পারে এবং তার সমাধান হিসেবে আপনি কী করবেন।
যাদের স্পন্ডিলোসিস বা স্পন্ডিলোলিস্থেসিসের সমস্যা রয়েছে তারা দীর্ঘ সময় বাইক চালালে পিঠে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। যাদের হাঁটুর সমস্যা রয়েছে বা হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তাদের স্কুটার ব্যবহার করা উচিত। যাদের মেরুদন্ডের সমস্যা রয়েছে বা স্পাইনাল সার্জারি হয়েছে তাদের বাইক এড়িয়ে চলাই ভালো।
যেহেতু বাইক চালালে অনেক সময় হাঁটু ভাঁজ করে রাখতে হয় তাই আর্থারাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়াও দুটি হ্যান্ডেল জোরে চেপে ধরার কারণেও হাতে সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাইকারদের নিয়মিত হাতের ব্যায়াম করা একান্তই জরুরী।
এছাড়াও বেশ কিছু ব্যায়াম হয়েছে যেগুলি সম্পর্কে জেনে নিন-
১. প্রত্যেকদিন অন্তত আধঘন্টা হাঁটতে হবে।
২. কোমরের জন্য করতে হবে ভুজঙ্গাসন। দিনে ৫-৬ বার করলেই হবে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং হিপ মাসল টাইট রাখার জন্য স্কোয়াট ও স্পট জগিং করা যেতে পারে।
৪. দেওয়ালে একটি হাত রেখে তাতে ভর দিয়ে পেছনে পা তুলুন। দুই পা মিলিয়ে পাঁচ বার বললেই হবে।
৫. যদি আপনি দীর্ঘক্ষণ বাইক চালান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিরতি নিতে হবে। বাইক থেকে নেমে শরীরের মুভমেন্ট করুন। কোমরে হাত দিয়ে সামনে, পিছনে, পাশের দিকে ঝুঁকে ব্যায়াম করুন।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিজের শরীর এবং উচ্চতা বুঝে তবেই মোটরবাইক নির্বাচন করা উচিত। কারণ, বাজারে এখন অনেক ধরনের মোটরবাইক রয়েছে যেগুলো স্টাইলিশ হলেও শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই আপনি কোনটিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন সেই বাইকই কেনার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন,
*খোঁজ মিললো ২৫০০ বছরের পুরনো যজ্ঞকুণ্ডর
*স্বামীর সাথে নয়, শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক করতে চায় পুত্রবধূ!