আজ অক্ষয় তৃতীয়া। প্রতি বছর হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসব পালিত হয়। এটিকে একটি শুভ দিন বলে মনে করা হয়৷ এদিন যেকোনো শুভ কাজ করলে তার সাফল্য মিলবেই। এদিন দেবী লক্ষ্মীকে সোনা, রূপা দিয়ে বিশেষভাবে পুজো দেওয়ার প্রথা চালু রয়েছে। প্রথা অনুযায়ী এদিন যদি সোনা কিংবা রূপার জিনিস কেনা যায় তবে তা সুখ ও সম্পদ বয়ে নিয়ে আসে।
পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী, এই দিনেই যোগ হতে চলেছে বিরল গজকেশরী রাজযোগ। এই যোগ একটি অত্যন্ত শুভ যোগ৷ এই রাজযোগে বৃহস্পতি ও চন্দ্রের মিলন হয়। জানা যাচ্ছে, প্রায় ১০০ বছর পর এই গজকেশরী রাজযোগ গঠিত হতে চলেছে। এটি যে অত্যন্ত বিরল একটি কর্মকাণ্ড তা স্পষ্ট।
বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয় তিথিতে এই উৎসব পালিত হয় বলে এর নাম অক্ষয় তৃতীয়া। এটি হিন্দু ধর্মের একটি অত্যন্ত পবিত্র উৎসব। এই তিথিতে জল দান করার নিয়ম রয়েছে। এদিন স্বজন ও পিতৃদেবতার জন্য জল অর্পণ করা যায়। এটি করলে শুভ ফল পেতে পারেন। শাস্ত্র মতে, এদিন সত্যযুগ ও ক্রেতাযুগের আবির্ভাব হয়েছিল।
এদিন বিশেষ অনুষ্ঠান হিসেবে ভজন, জলতর্পণ, তীর্থযাত্রা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইত্যাদি করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পরশুরাম জয়ন্তী পালন করা হয়। মনে করা হয় এদিন ভগবান বিষ্ণু নরনারায়ন রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ব্রাহ্মণদের ঘড়ি, পাখা, ছাতা, চাল, ঘি, চিনি, বস্ত্র, শসা, তরমুজ, দক্ষিণা ইত্যাদি দান করলে পুণ্য হয়। এছাড়া গৃহপ্রবেশের জন্য এই দিনটি আদর্শ।
এর পাশাপাশি অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষ্মী দেবীর পুজো করুন। প্রথমে গণেশ পুজো করে তারপর গরুর দুধে জাফরান মিশিয়ে তা একটি শঙ্খে ভরে ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষ্মী দেবীর মূর্তিতে ঢালতে হবে। এরপর ওই শঙ্খটি গঙ্গার জলে পূর্ণ করতে হবে। এরপর ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষ্মী দেবীকে জলে অভিষেক করে তাদের লাল হলুদ উজ্জ্বল বস্ত্র পরিধান করাতে হবে।
আরও পড়ুন,
*২০০০ মানুষের চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন যিনি
*অক্ষয় তৃতীয়া, আজ থেকেই কপাল খুলবে ৩ রাশির