তিন বালকের আশ্চর্য আবিষ্কারে তোলপাড় গোটা বিশ্ব!

The whole world is excited by the discovery of three boys!

সম্প্রতি তিন বালকের আশ্চর্য আবিষ্কারের কাহিনী বিশ্ব জুড়ে তোলপাড়। আর সেই আবিষ্কার যে খুব সাধারণ কিছু নয়, বরং বেশ দামি ও বহুমূল্যতা স্বীকার করেছেন অনেকেই। তিন বালক যাদের বয়স ৭,৯ ও ১০। তাদের মধ্যে দুই ভাই যাদের বয়স ৭ ও ১০ বছর এবং অপর আরেকটি তুতো ভাই যার বয়স ৯। তারা পাহাড়ি রাস্তা ধরে হেঁটে চলছিল। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে পা রেখে চলছিল তারা। সঙ্গে ছিল তাদের বাবা।

প্রবল আনন্দে তড়তড় করে তারা উঠে যাচ্ছিল পাহাড়ে। পাহাড়ে উঠতে উঠতে হঠাৎ করে তাদের একটি উঁচু ও এবড়োখেবড়ো জিনিস নজরে পড়ে। যদি এমন জিনিস পাহাড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সামনে গেলে দেখা যায় পাহাড়ি গাছ বা মাটি উঁচু হয়ে রয়েছে সেই অংশ। কিন্তু ওই জিনিসটি তেমন দেখতে লাগছিল না। এরপর ওই তিন বালক জিনিসটির সামনে যায়।

কাছে গেলে দেখা যায় অতিকায় পশুর মতন দেখতে একটি প্রস্তরখন্ড। তিন বালক সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা বোঝার চেষ্টা করে জিনসটি কী। তারা তাদের অভিভাবককে বিষয়টি জানায়৷ এরপর সেখান থেকে ফিরে আসার পর ওই তিন বালক এক মিউজিয়ামে তাদের ওই দেখা বস্তুটির কথা জানায়। এই ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালে।

এরপর ২০২৩ সালে ফের তারা তিন জন ওই পাহাড়ের নির্দিষ্ট ওই বস্তুটির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এবার তারা যায় ওই জিনসটি কী তা জানার জন্য। তবে এবার তারা তিন জন নয়, তাদের সঙ্গে মিউজিয়ামের এক বিশেষজ্ঞ যায়। সেখানে পৌঁছে অনেকক্ষণ ধরে নিরীক্ষণ চলে। এরপর ওই বিশেষজ্ঞ জানায়, ওই তিন বালক যা আবিষ্কার করেছে তা আগামী দিনে বিশাল কাজে লাগবে গবেষকদের।

ওই আবিষ্কৃত জিনিসটি হলো টাইর‍্যানোসরাস রেক্স-এর জীবাশ্ম। ডাইনোসরদের মধ্যে অন্যতম ভয়ংকর প্রজাতি ছিল এই টিরেক্সরা। যদিও আবিষ্কার হওয়া জীবাশ্মটি একটি শাবক টিরেক্স-এর। বর্তমানে সেটি ডেনভার মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে।